স্ত্রীর অত্যাচারে ব্যতিব্যস্ত! আইনে কতটা সুরক্ষিত স্বামী কিংবা পরিবারের পুরুষ সদস্যরা, কী বলছে হাইকোর্ট
গার্হস্থ্য হিংসায় একতরফা মহিলারাই নন, পুরুষরাও আক্রান্ত। তবে আইনে তারা কতটা সুরক্ষিত, তা নিয়ে অবস্থান জানিয়েছে হাইকোর্ট।
গার্হস্থ্য হিংসা আইনে বিবাহিত মহিলাদের সুরক্ষার কথা বলা হয়েছে। সেই আইন স্বামী কিংবা তাঁর পরিবারের পুরুষ সদস্যরা কোনওভাবেই সুরক্ষার সুযোগ নেই। এমনটাই মনে করছে দিল্লি হাইকোর্ট।
গার্হস্থ্য হিংসা আইনের ব্যাখ্যা
গার্হস্থ্য হিংসা আইনের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আদালত বলেছেন, ওই আইনের ২এ ধারায় যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তাতে পরিবারের মহিলা সদস্যকে বোঝানো হয়েছে। তাঁর সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক থাকা এমনই পরিবার যেখানে তিনি পারিবারিক হিংসার শিকার হয়েছেন।
মামলায় স্থগিতাদেশ
স্বামী স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই মামলায় স্বামীর কথা অভিযোগ বাতিলের দাবি করে পাল্টা আবেদন করেন স্ত্রী। তবে বিচারপতি জসমিত সিং সেই মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়ে দেন। হাইকোর্টের ২৩ জানুয়ারির আদেশে ওই মহিলার আবেদনের ভিত্তিতে তাঁর স্বামীকেও নোটিশ দেয়।
আদালতের ব্যাখ্যা
গার্হস্থ্য
হিংসা
আইনের
১২
ধারার
অধীনে
স্বামী
স্ত্রীর
বিরুদ্ধে
মামলার
আবেদন
করেছিলেন।
এব্যাপারে
আদালত
বলেছে,
প্রাথমিক
ভাবে
আইনের
২এ
ধারায়
আইনে
পরিবারের
পুরুষ
সদস্য
কিংবা
স্বামীর
কোনও
কথা
উল্লেখ
নেই।
ওই
মহিলার
আইনজীবী
বলেছেন,
আবেদনকারীর
স্বামী
গার্হস্থ্য
হিংসার
আইনে
মামলা
দায়ের
করেছিলেন।
আইনের
সারাংশ
এবং
২এ
ধারায়
সেখানে
একজন
মহিলার
কথা
উল্লেখ
করা
হয়েছে।
কোনও
পুরুষ
সদস্য
নয়।
আইনজীবী
স্পষ্ট
করে
বলেছেন,
এই
আইনে
পরিবারের
কোনও
পুরুষ
সদস্য
বিশেষ
করে
স্বামীকে
সুরক্ষা
দেওয়ার
কথা
বলা
নেই।
হাইকোর্টে পরবর্তী শুনানি ১৪ ফেব্রুয়ারি
আইনজীবীদের
ব্যাখ্যা
অনুযায়ী,
পরিবারের
মহিলা
সদস্যকে
গার্হস্থ্য
হিংসা
আইনে
সুরক্ষা
দেওয়া
হয়েছে।
এক্ষেত্রে
পরিবারের
পুরুষ
সদস্য
নিজের
সুরক্ষার
জন্য
নিজের
স্ত্রীর
বিরুদ্ধে
আবেদন
করেছিলেন।
কিন্তু
ডোমেস্টিক
ভায়োলেন্স
অ্যাক্টে
পুরুষ
সদস্যের
সুরক্ষার
কথা
বলা
নেই।
ওপরের
উল্লিখিত
কারণে
মামলাটি
দিল্লির
কার্কারদুমায়
মেট্রোপলিটান
ম্যাজিস্ট্রেটের
আদালতে
শুনানির
ওপরে
স্থগিতাদেশ
দেওয়া
হয়েছে।
হাইকোর্টে
এই
মামলার
পরবর্তী
শুনানির
দিন
ধার্ষ
করা
হয়েছে
১৪
ফেব্রুয়ারি।