৩৭০ ধারা বিলুপ্ত হতেই কাশ্মীরে এবার ব্যবসা-বিনিয়োগ বাড়াতে কোন গেমপ্ল্যানে মোদী সরকার!
অনেকেই বলছেন, আগে যেখানে কেবলমাত্র শোনা যেত গুলি বোমার আওয়াজ, এবার সেখানে কলকারখানার আওয়াজ শোনা যাবে। বোমার ধোঁয়া মুছে গিয়ে সেখানে কারখানার চিমনি থেকে ধোঁয়া দেখতে পাওয়া যাবে।
অনেকেই বলছেন, আগে যেখানে কেবলমাত্র শোনা যেত গুলি বোমার আওয়াজ, এবার সেখানে কলকারখানার আওয়াজ শোনা যাবে। বোমার ধোঁয়া মুছে গিয়ে সেখানে কারখানার চিমনি থেকে ধোঁয়া দেখতে পাওয়া যাবে। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি সেখানে মানুষের কাছে কাজের সুযোগ, রোজগারের সুযোগ বাড়িয়ে দেবে বলে মোদী পন্থীদের জোরদার দাবি। এদিকে, কার্যত সেই দাবিকে সমর্থন করেই উঠে আসছে একটি তথ্য। জানা যাচ্ছে, কাশ্মীরের বুকে এবার আয়োজিত হতে চলেছে 'বিনিয়োগকারী দের সামিট'।
এক অর্থ বিষয়ক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০০০ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত কাশ্মীরের জন্য কেন্দ্রের তরফে ১০ শতাংশ অর্থ বিনিয়োগ করা হয়। তবে তার পরেও সেখানের প্রাইভেট ইন্ডাস্ট্রিতে উৎপাদনের হার ও লভ্যাংশ কমতে থাকে। যার নেপথ্যের কারণ ৩৭০ ধারার আওতায় থেকে কাশ্মীরের ওপর চাপিয়ে দেওয়া একাধিক বিধি নিষেধ। তবে সেই ধারা তুলে নেওয়ার পর এবার ব্যবসা ক্ষেত্রে উপত্যকা আর্থিক মানচিত্রে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, মোদী সরকারের উদ্যোগ এবার অক্টোবরেই জম্মু ও কাশ্মীরে বিজনেজ সামিট আয়োজন করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন:পাক অধীকৃত কাশ্মীর ও আকসাই চিনও ভারতের অংশ, সংসদে হুঙ্কার অমিত শাহের ]
জানা গিয়েছে, উপত্যকায় আয়োজিত এই ইন্ডাস্ট্রিতে সামিটে একাধিক নামী সংস্থা যুক্ত হতে চলেছে। উপত্যকায় কিভাবে বিনিয়োগ বাড়িয়ে সেখানের মানুষকে কাজের সুযোগ সুবিধে দেওয়া যায়, তাই নিয়েই মূল আলোচনার সম্ভাবনা। সিআইআই এর উত্তর অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট সমীর গুপ্ত এক প্রথম সারির সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন ,'এই পদক্ষেপ (৩৭০ ধারার অবলুপ্তি) এলাকায় (কাশ্মীর) আরও বিনিয়োগ বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করছি। এলাকার কৃষি ও পর্যটন অনেকটাই সুবিধা পাবে বলে মনে হচ্ছে। '
[আরও পড়ুন:এখন ভোট হলে কত আসন পেতে পারে বিজেপি! মোদীর প্রশংসা তাঁর সমালোচকের মুখে]