'আপনি এলে ভালো হতো, তবে...' শপথের পর মোদী-কেজরি টুইট সৌজন্য অব্যাহত
দিল্লি নির্বাচন শুরুর মুখে অমিত শাহ দাপটের সঙ্গে বলেছিলেন, এই নির্বাচন মোদী বনাম কেজরিওয়ালের লড়াই। সেই ফর্মুলাকে সত্যি করে প্রচারে দুইপক্ষই এই দুই রাজনৈতিক তারকাকে সামনে রেখে দিল্লির ভোটপর্ব সম্পন্ন করেছে। আর ভোটের ফলাফলের পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেজরিওয়ালকে শুভেচ্ছা জানাতেই , জল্পনা চড়ে কেজরিওয়ালের শপথে মমতা-কেজরি সাক্ষাতের। তবে শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা নন, শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী মোদীই কেজরিওয়ালের শপথে আমন্ত্রিত। আর সেই ঘটনার পর টুইটারে দুই নেতার কথাবার্তা থেকেও চড়ছে বহু রাজনৈতিক জল্পনা।
ব্রাত্য মমতা, নরম সুরে কেজরি-মোদী!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি ছাড়াই ১৬ ফেব্রুয়ারি দিল্লির রামলীলা ময়দানে শপথ বাক্য পাঠ করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আমন্ত্রণ আসেনি বাংলা সমেত কোনও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তাই ব্রাত্য ছিলেন মমতা। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেজরিওয়ালের মোদী বিরোধিতায় অন্যতম সমর্থক ছিলেন। তবে তিনি যেতে না পারলেও, একটি টুইটে কেজরিওয়ালকে শুভেচ্ছা জানান। এরপরই কেজরিওয়ালের 'সৌজন্যের' পাল্টা বার্তা রাজধানীর বুকে পারদ চড়িয়েছে।
কেজরিওয়ালের টুইট
' ধন্যবাদ আপনার শুভেচ্ছা বার্তার জন্য। আপনি এলে ভালো হত আজ। তবে আমি আপনার ব্যস্ততা বুঝি। আমরা এবার দিল্লির উন্নয়নে কাজ করি আসুন, যে শহর ভারতবাসীর গর্ব। ' এভাবেই মোদীকে নমনীয় সুরে কেজরিওয়ার টুইটবার্তা জানান। শুধু তাই নয়, সাফল্যের জন্য তিনি মোদীর আশীর্বাদও চেয়েছেন বলে খবর। যে নমনীয় সুর ঘিরে খানিকটা জল্পনার পারদ রাজধানী জুড়ে চড়ছে।
দিল্লি নির্বাচন ও রাজনীতি
দিল্লি নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হতেই দেখা যায়, বিজেপিকে কার্যত দুরমুশ করে আপ জিতে গিয়েছে ৭০ টির মধ্যে ৬৩ টি আসন। এরপরই মমতা বলেন, 'সমস্ত জায়গা থেকে বিজেপিকে বিতাড়িত করেছে মানুষ। ' কেজরিওয়ালের শপথে যাওয়ার বিষয়েও ইতিবাচক ইঙ্গিত দেন মমতা। তবে , শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ ও বাকি মুখ্যমন্ত্রীদের আমন্ত্রণ না পাঠানো নিয়ে কেদরি-মোদীর সম্পর্ক ফের একবার আলোচনায়।