কীভাবে চলছে রাজ্যে রাজ্যে জনতা কার্ফু?
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে আজ গোটা দেশে জনতা কার্ফু পালিত হচ্ছে। তাতে সামিল হয়েছেন দেশবাসী।
এই জনতা কার্ফুর কী সুফল সেটা প্রকাশ্যে আসতে একটু সময় লাগবে বলে জানিেয়ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে গোটা দেশেই জামিল হয়েছে জনতা কার্ফুতে। কারোর কাছে সচেতনতা কারোর কাছে আবার প্রবল রোজগারে ধাক্কা।

জনতা কার্ফুতে সর্বাত্মক সাড়া
জম্মু-কাশ্মীর থেকে রাজধানী দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, কেরল, তামিলনাড়ু সর্বত্র একই ছবি সকাল। শুনশান মুম্বইয়ের জুহু বিচ, গোয়ার সমুদ্র সৈকতও সব ফাঁকা। জনমানুষ নেই সেখানে। অন্যদিকে কেরলেও একই ছবি দেখা যাচ্ছে। অধিকাংশ রাজ্যই সামিল হয়েছে জনতা কার্ফুতে। প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ করেছিলেন এই জনতা কার্ফু চলা কালীন প্রতিবেশী কোনও জায়গায় যেন ভিড় না করা হয়। সকলে নিজের বাড়িতেই থাকুন। কেউ কারোর বাড়িতে যাবেন না।

শাহিনবাগে প্রতিবাদ চলছে
এতো কিছুর পরেও কিন্তু সচেতনতা নয় দাবি আঁকড়ে বসে রয়েছেন। দিল্লির শাহিনবাগ এবং লখনউয়ের ক্লক টাওয়ারে প্রতিবাসে জমায়েতে রয়েছেন প্রতিবাদী মহিলারা। তাঁরা এলাকা ছাড়তে নারাজ। অন্যদিকে একদিনের জনতা কার্ফুতে সংকটে দিনমজুর, রিকশাওয়ালা, ফেরিওয়ালারা। জনকা কার্ফুর কারনে রোজগারে টান ধরেছে তাঁদের।

চলছে না বাস, ট্রেন
জনতা কার্ফুর কারণে দেশের অধিকাংশ শহরই প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দিল্লি মেট্রো পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। কলকাতাতে মেট্রো চললেও তার সংখ্যা সীমিত। অন্যদিকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব দূরপাল্লার যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। লোকাল ট্রেনের সংখ্যাও আজ কম। সেকারণে স্টেশন গুলিতে ভিড় নেই বললেই চলে। ট্যাক্সি, অটোও বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ জায়গায়।