দেশের আর্থিক অবস্থা নিয়ে ভারতকে সতর্ক হতে বলল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল
দেশের আর্থিক দুরবস্থা নিয়ে মোদী সরকারকে সতর্ক করল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। সংস্থার প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ জানিয়েছেন, ভারতের অর্থনৈতিক দুরবস্থা নিেয় পদক্ষেপ করা উচিত। যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে
দেশের আর্থিক দুরবস্থা নিয়ে মোদী সরকারকে সতর্ক করল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। সংস্থার প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ জানিয়েছেন, ভারতের অর্থনৈতিক দুরবস্থা নিেয় পদক্ষেপ করা উচিত। যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। ব্যাঙ্কিং সেক্টরের বহির্ভুত যে অর্থনৈতিক সংস্থাগুলি রয়েছে সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি মোদী সরকারের। তিনি চাহিদা তৈরির উপরে জোর দিয়েছেন।
চরম সংকটে দেশের আর্থিক অবস্থা
মোদী সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশের আর্থিক অবস্থা চরম সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গত পাঁচ মাস ধরে শেয়ার বাজারে লাগাতার পতন। টাকার দামের পতন এমনকী ব্যাঙ্কিং সেক্টরেও চরম মন্দার উপর দিয়ে যাচ্ছে। দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে মুদ্রাস্ফীতি। একািধক আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা ভারতের আর্থিক উন্নয়নের ধারা কমিয়ে দিয়েছেন। বাণিজ্যেও পরিস্থিতি চরম সংকটে।
গীতা গোপীনাথের পরামর্শ
ভারতের আর্থিক সংকট নজর টেনেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলেরও। সংস্থার প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথন এই নিয়ে মোদী সরকারের সতর্ক হওয়া উচিত বলে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন মোদী সরকারের উচিত দেশের আর্থিকনীতির উপর বিশেষ নজর দেওয়া। শিল্প এবং বাণিজ্য উভয় ক্ষেত্রেই একটু বেশি সতর্ক হওয়া জরুরি বলে জানিয়েছেন তিনি। কিভাবে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানো যায় সেদিকেও নজর দেওয়া জরুরি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মোদী সরকার রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধির কোনও নীতি ঘোষণা করেনি। সেটাই মূল ভাবনার বিষয় বলে জানিয়েছেম গীতা। ব্যাঙ্কিং সেক্টরের বাইরে যেসব আর্থিক সংস্থা রয়েছে সেিদকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। ২০০৮ সালের আর্থিক মন্দার থেকেও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ২০১৯ সালে।
চাহিদায় ঘাটতি আর মূলধনের অভাবে ভুগছে দেশ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রধান অর্থনীতিবিদের দাবি ভারতের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী চাহিদায় ঘাটতি আর মূলধনের অভাব। একাধিক ক্ষেত্রে চাহিদা কমে গিয়েছে। কারণ মানুষের হাতে নগদ অর্থের যোগান কমেছে। শুধু তাই নয় এই নগদ সংকট বিনিয়োগেও ঘাটতি তৈরি করেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। সেই কারণেই অগস্টে শিল্পক্ষেত্রে বিিনয়োগ এসেছে মাত্র ১.১ শতাংশ। গত ৮১ মাসে যা সর্বনিম্ন বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি কমিয়েছে মুদ্রা তহবিল
মোদী সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই ঘোষণা করেছিলেন আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশকে ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশে নিয়ে যাবেন। সেই মত দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হিসেব তিনি জানিয়েছিলেন ৭ শতাংশ। যদিও ভারতের ক্রমশ নিম্নগতির অর্থনীতির কথা বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল সেই বৃদ্ধির হার কমিয়ে ৬ শতাংশ ঘোষণা করেছে। বিশ্বব্যাঙ্কও সেই পথেই হেঁটেছে। একের পর এক আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থার কাছে ভারতের এই মূল্যায়ন প্রশ্ন তুলে দিয়েছে মোদী সরকারের আর্থিক নীতি নিয়ে। নোট বাতিল, জিএসটি কারণেই যে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা এবার প্রকাশ্যেই বলতে শুরু করেছেন অর্থনীতিবিদরা।
দেশের অর্থনীতি সবচেয়ে খারাপ দশা হয়েছিল মনমোহন-রাজন জমানায়, পাল্টা আক্রমণ সীতারামনের