চিনের বাণিজ্যকে বিশ্বে দুরমুশ করতে ভারত নামছে কোমর বেঁধে! কোনপথে গেমপ্ল্যান
চিনের বাণিজ্যকে বিশ্বে দুরমুশ করতে ভারত নামছে কোমর বেঁধে! কোনপথে গেমপ্ল্যান
টুইটার থেকে ফেসবুক, সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে চোখ রাখলেই দেখা যাবে চতিনা দ্রব্য বয়কটের ডাক গোটা ভারত জুড়ে। কোনও মতেই চিনের দ্রব্যকে আর ব্যবহার করা যাবে না। এই বার্তা নিয়েই এবার 'আত্মনির্ভর' ভারতের বাণিজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে দেশ।
২০১৯ দিওয়ালি থেকেই সাফল্য ও চিনা বাণিজ্য
২০১৯ সালে ভারত দিওয়ালির সময় চিনা লাইট বর্জনের ডাক দেয়। আর সেই সময় থেকেই একটু একচু করে ভারতের বুকে ধাক্কা খেয়েছে চিনের ব্যবসা। ২০ শতাংশ চিনের ব্যবসা সেই সময়ই তছনছ হয়েছে। যা নিয়ে ক্ষোভ ছিল বেজিংয়ের।
কোন সুযোগ রয়েছে ভারতের বাণিজ্যের সামনে?
ম্যাকরোলেন্সের চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট জানিয়েছেন , ২০২০ সালে চিনের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্প তুমুল ধাক্কা খাবে।যা ভারতীয় সংস্থাগুলির কাছে সুখবর। চিনের বাজার চলে যাওয়ার ফলে মাঝে তৈরি হওয়া ফাঁকা জয়গা যদি ভারতীয় উৎপাদকরা ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে ভারতের অর্থনীতি সাফল্যের অন্য শিখর দেখতে পারে, বলে মত সংস্থার।
অরুণাচলকে ঘিরে নজর
বলা হয়, দেশের মধ্যে অরুণাচল প্রদেশই একমাত্র এলাকা , যেখানে 'জয় হিন্দ' বলে একে অপরকে শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়। এই এলাকা দখলের দিকে নজর রয়েছে চিনের। আর তার ৬২ সাল থেকেই প্রকট হয়েছে। তবে এই অরুণাচল যদি ভারতে চিনা দ্রব্য বর্জনে বড় ভূমিকা নিতে পারে, তাহলে ভারতের দাপট বিশ্ব বাণিজ্যে চিনকে ছাপিয়ে যেতে বাধ্য। এমনই দাবি বহু বিশেষজ্ঞের।
চিনের অর্ডার বাতিল হচ্ছে
চিনের দ্রব্য বর্জনের জন্য ইতিমধ্যেই ১৫০ মিলিয়নের চিনের দ্রব্যের অর্ডার নয়ডার একটি শপিং মল বাতিল করেছে। এভাবেই বিভিন্ন জায়গা থেকে চিনের পণ্য আমদানি বন্ধের চেষ্টা শুরু হয়েছে।
বাজার অর্থনীতি
এদিকে, ৪০ হাজার কোটির ইলেক্ট্রনিক সেক্টরকে গত মার্চ থেকেই চাঙ্গা করার চেষ্টা করছে ভারত। যা বেজিংকে স্বস্তি দেয়নি। ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ইলেক্ট্রনিক পণ্য সারা বছর ভারত রপ্তানী করে। আর সেই বাজারকে চাঙ্গা করার উদ্যোগ দিল্লি নিতেই রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে দিল্লি। এদিকে, ভারতের ঘরোয়া বাজারে ১২০ বিলিয়ন ডলারের বাজার রয়েছে ইলেক্ট্রিক পণ্যের। যা চিন সিংহভাগ দখল করতে চায়। যদিও তাতে এবার বাধ সাধছে ভারত।
পরিযায়ীদের প্ররোচনা দেওয়ার চেষ্টা! শ্রমিকদের পাশে কীভাবে সরকার বর্ণনা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী