তৎকালে পাসপোর্ট বানিয়ে দেশছাড়া ছোটা রাজন, কারা বানিয়ে দিল পাসপোর্ট?
নয়াদিল্লি, ১০ অক্টোবর : অপরাধের জাল যে অনেক দূর বিস্তৃত হতে পারে তা আন্দাজ করেছিল সিবিআই। তবে ছোটা রাজনের ক্ষেত্রে তা আরও বেশি বিস্তৃত তাতে এখন আর কোনও সন্দেহ নেই সিবিআই কর্তাদের। ফলে সময় বুঝে হিসাব করেই এখন তদন্তকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ব্যস্ত তাঁরা।
আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন ছোটা রাজনকে জেরা করা সিবিআই আধিকারিকদের একটি দল খুব শীঘ্র কর্ণাটকে যাবেন বলে জানা গিয়েছে। কারণ ২০০৩ সালে সেই রাজ্য থেকেই তৎকালে রাজনের পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। আর এক্ষেত্রে নাম নকল থাকলেও ওই ঠিকানা আদতে রয়েছে। কারা সেখানে থাকে সেটা এখন তদন্ত করে দেখতে হবে।
সিবিআই জেনেছে, কর্ণাটকে বানানো তৎকাল পাসপোর্টের মেয়াদ ছিল ২০০৮ সালের ৮ জুলাই পর্যন্ত। এরপরে তা বাড়িয়ে ৭ জুলাই ২০১৮ পর্যন্ত করে নেয় রাজন।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, মোহন কুমার নাম দিয়ে কর্ণাটকের আজাদ নগর, মাণ্ডীর ১০৭/বি, ওল্ড এম.সি রোড থেকে রাজনের পাসপোর্ট ইস্যু হয়। সেইসময়ে রাজন ছিল জিম্বাবোয়েতে। ফলে কীভাবে পাসপোর্ট তৈরি হল তা জানতে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই।
ছোটা রাজনের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, লোকঠকানো, জালিয়াতি, খুন সহ প্রায় ৮৫টির বেশি মামলা ঝুলে রয়েছে। এরপর জাল পাসপোর্ট মামলায় ১০ দিনের জন্য রাজনকে নিজেদের হেফাজতে পেয়েছে সিবিআই।
সিবিআই জেনেছে, তৎকালে বানানো জাল পাসপোর্ট দিয়েই ২০০৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৫ সালের ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় ছিল ছোটা রাজন। পরে সেখান থেকে ইন্দোনেশিয়া এসে বিমানবন্দরে ধরা পড়ে।