রাম মন্দির, লাভ জেহাদ বিরোধী আইনেই নতুন অক্সিজেন পদ্মশিবিরে, বছর শেষে কৃষি কাঁটায় বিদ্ধ বিজেপি
চলতি বছরেই একাধিক রাজ্যে সাংগঠনিক শক্তি বাড়িয়ে নতুন উদ্যোমে ফিরে এসেছে বিজেপি। পুনরায় পদ্ম ফুটেছে বিহার, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিকে। ২০২০ সালে বাংলা, কেরলের মতো রাজ্যগুলিতেও বেড়ে সাংগঠনিক শক্তি বেড়েছে বিজেপির। অন্যদিকে একাধিক রাজ্যে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে দিশাহীন কংগ্রেস। যদিও বছর শেষের দোরগোড়ায় এসে কৃষি আইন বিতর্কের জেরে বর্তমানে বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে বিজেপি।

চাপ বাড়ছে কেন্দ্রের উপর
এদিকে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের নয়া তিনটি কৃষি বিল বাতিলের দাবি প্রায় ৩৬ দিনেরও বেশি সময় ধরে দিল্লি সীমান্তে অবস্থান করছেন ১০ লক্ষের বেশি কৃষক। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২৭ সেপ্টেম্বরে সংসদে পাশ হয় কৃষি বিল। তারপর রাষ্ট্রপতি রামথান কোবিন্দ বিলে সই করার পরেই তা আইনে পরিণত হয়। আর তখন থেকেই বিরোধী দল সহ দেশের বৃহত্তর কৃষক সমাজের প্রবল বিরোধীতার মুখে পড়ে বিজেপি সরকার।

বিজেপি বিরোধী আওয়াজ তুলে গর্জে ওঠেন পাঞ্জাব-হরিয়ানার কৃষকরা
সবথেকে বেশি আওয়াজ তুলতে দেখা যায় পাঞ্জাব, হরিয়ানার কৃষকদের। এদিকে ইতিমধ্যেই কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাবও পাশ হয়েছে পাঞ্জাব বিধানসভায়। একই পথে হেঁটেছে কেরল সহ একাধিক বিজেপি বিরোধী রাজ্য। এদিকে এই ইস্যুতে কেন্দ্র-কৃষক একাধিক বৈঠকেও এখনও মেলেনি কোনও রফাসূত্র। যদিও এখনও কৃষি আইন কোনোভাবেই বাতিল করা হবে না সাফ জানাচ্ছেন একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

কৃষি কাঁটায় বিদ্ধ বিজেপি
অন্যদিকে আইন বাতিল না করা পর্যন্ত কোনও ভাবেই আন্দোলনের রাস্তা থেকে পিছু হটবে না বলে সাফ জানিয়েছে একাধিক কৃষক সংগঠন। এদিকে ইতিমধ্যেই দিল্লির হার কাপানো ঠাণ্ডায় খোলা আকাশের নীচে সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১৫ জনের বেশি কৃষক। যার ফলে প্রশ্ন উঠছে কেন্দ্রের মানবিককতা নিয়ে। এদিকে ২০১৯ সালের সিএএ,এনআরসি ইস্যুর পর দেশ যে এত বড় আন্দোলন আর দেখেনি তা কার্যত স্বীকার করে নিচ্ছেন সকলেই।

কৃষি আইনের হাত ধরেই মুখ পুড়েছে কেন্দ্রের
অন্যদিকে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এতবড় ধাক্কা যে বিজেপিও খায়নি, তা মনে নিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরাও। এমনকী কৃষি আইন বিতর্কের হাত ধরেই ভাঙন এসেছে এনডিএ জোটেই। আইনের বিরোধিতা করে চলতি বছরেই বিপির হাত ছেড়েছে পাঞ্জাবের শিরোমণি আকালি দল। অন্যদিকে নীতিশ কুমারের জেডিইউ-র সঙ্গে জোট বেঁধে এনডিএ ক্ষমতায় ফিরলেও রাজ্যের একক বৃহত্তম দলের তকমা পেয়েছে লালুপ্রসাদের আরজেডি। যা ভাবাচ্ছে বিজেপিকে।

বিহারে এনডিএ ক্ষমতায় এলেও ক্ষমতা কমেছে শরিক জেডিইউ-র
বিহারে জেডিইউ-বিজেপি জোট সরকার ক্ষমতায় এলেও বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি এনডিএ। আর এর জন্য নীতিশকেই খারাপ ফলকেই কাঠগোড়ায় তুলেছে বিরোধীরা। কারণে সেখানে ১১৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে মাত্র ৪৩টি আসনে জয় পায় জেডিইউ। সেখানে বিজেপি একাই পায় ৭৪। তবে প্রাপ্ত আসনের নিরিখে দেখতে গেলে বিহারে আগের থেকে অনেকটাই সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করে ফেলেছে বিজেপি।

রাম মন্দির থেকে লাভ জেহাদ বিরোধী আইনের হাত ধরেই নতুন অক্সিজেন
অন্যদিকে চলতি বছরেই রাম মন্দিরের শিলান্যাস থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশের লাভ জেহাদ বিরোধী আইন নতুন করে অক্সিজেন জুগিয়েছে পদ্ম শিবিরে। পাশাপাশি করোনাকালীন তীব্র মন্দাদশায় যখন জর্জরিত গোটা দেশ তখন মোদীর ২০ লক্ষ কোটি টাকার আত্মনির্ভর প্যাকেজের ঘোষণাও দেশবাসীর কাছে নতুন করে প্রাসঙ্গিক করো তোলে বিজেপিকে। যদিও এই প্যাকেজ দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতে আদপেও কতটা বড়সড় ভূমিকা রাখে সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় অর্থনীতিবিদদেরই একাংশকে।

ভারত-চিন দ্বন্দ্বে নয়া মোড়! ভারত মহাসাগরের অতলে চিনা ড্রোনের দেখা মেলায় তীব্র চাঞ্চল্য