রাতারাতি ফড়নবীশে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ কী করে? মুখ লোকাচ্ছে বিজেপি, আরআইয়ে তথ্য জানাতে নারাজ
রাতারাতি ফড়নবীশে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ কী করে? মুখ লোকাচ্ছে বিজেপি, আরআইয়ে তথ্য জানাতে নারাজ
রাতারাতি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন বিজেপি দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। কীভাবে সেটা সম্ভব এই নিয়ে আরটিআই মামলা করা হয়েছিল। সেই মামলার প্রেক্ষিতে উত্তর দেওয়া হয়েছে, সেই তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। এতেই বোঝা যাচ্ছে ক্ষমতালোভী বিজেপি কোনও আইন না মেনেই কাজ করে চলেছে। আরটিআইয়ের এই জবাব প্রকাশ্যে আসার পরেই চাপ বেড়েছে মহারাষ্ট্রের বিজেপি শিবিরে।
রাতারাতি শপথ ফড়নবীশের
মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় ফেরা মুশকিল জেনেই রাতারাতি রাজভবনে শপথ নিয়েছিলেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। এনসিপির অজিত পাওয়ারের সমর্থন নিয়ে রাতারাতি ফড়নবীশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ চমকে দিয়েছিল দেশের রাজনৈতিক মহলকে। যদিও তিন দিনের মধ্যেই পদত্যাগ করেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে আস্থাভোট করতে বলার এক ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগ করেন ফড়নবীশ।
আরটিআইয়ে তথ্য দিতে নারাজ
ফড়নবীশের এই রাতারাতি মুখ্যমন্ত্রী শপথ কীভাবে হল তা নিয়ে আরটিআই হয়েছিস। সেই আরটিআইয়ের প্রেক্ষিতে তথ্য জানানো যাবে না বলা হয়েছে। ২২ এবং ২৩ নভেম্বরের সেই ঘটনা যে একেবারেই বেআইনি ছিল সেটা আরটিআইয়ের এই জবাব থেকেই স্পষ্ট। কারণ সেকথা জানালে ফাঁস হয়ে যেত।
রাষ্ট্রপতি শাসন জারিতেও অনিয়ম
যেভাবে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছিল মহারাষ্ট্রে সেটাও ছিল অনৈতিক। কারণ বিরোধীদের সুযোগ না দিয়েই রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করেন। হঠাৎ করে বিকেল ৫টা রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার করা হয়। তারপরেই রাতারাতি মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন ফড়নবীশ। পার্টির নির্দেশেই এই কাজ তিনি করেছিলেন বলে সূত্রের খবর।
বিধায়ক কেনার চেষ্টা
মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে মরিয়া বিজেপি এনসিপি এবং কংগ্রেস বিধায়কদের কেনার চেষ্টা করেছিল। অজিত পাওয়ারের ক্ষেত্রে সফলও হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সেটা শেষ পর্যন্ত কার্যকর করতে পারেনি। তার আগেই ঘঁুটি সাজিয়ে ফেলেছিলেন শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে।