জেলবন্দি ধর্ষক রাম রহিমের প্রথম দিন কেমন কাটল, জেলে কোনও বিশেষ সুবিধা জুটল কি
ধর্ষণে সাজাপ্রাপ্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিমের প্রথম দিন জেলের অন্দরে একেবারেই সাধারণ বন্দির মতোই কাটল।
প্রভাব-প্রতিপত্তির মায়া কাটিয়ে ধর্ষণে সাজাপ্রাপ্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিমের প্রথম দিন জেলের অন্দরে একেবারেই সাধারণ বন্দির মতোই কাটল। দুজন নারীকে ধর্ষণের দায়ে আলাদা করে দশ বছরের জেল অর্থাৎ মোট ২০ বছরের জেল হয়েছে রাম রহিমের। ৭০০ একরের সম্পত্তি ছেড়ে একেবারে জেলে গরাদের পিছনে আশ্রয় নিয়েছে এই ধর্মগুরু।
জেল সূত্রে খবর, রোহতকের সুনারিয়া জেলে রাতে দেওয়া খাবারের গ্রাস পর্যন্ত মুখে তোলেনি রাম রহিম। জেলে তাকে কোনওরকম আলাদা সুবিধা দেওয়া হয়নি। সারা রাত জেলের মেঝেয় খড়ের বিছানায় সে শুয়েছে। রাতে কয়েকবার জল খেয়েছে ও এদিন সকালে কয়েক চুমুক দুধ মুখে তুলেছে ধর্ষক বাবা রাম রহিম। ব্যস আর কিছু সে খায়নি।
সোমবার সাজা ঘোষণার পরে আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়ে গুরমিত রাম রহিম। কিছুতেই আদালত কক্ষ থেকে বেরোতে চাইছিল না সে। ক্ষমাপ্রার্থনা করতে শুরু করে সে। একসময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ রাম রহিমের প্রতাপ তখন ধুলোয় মিশে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, রাম রহিমকে জেলে কোনও বিশেষ সেল না দেওয়া হলেও নিরাপত্তার কারণে অন্য কয়েদিদের সঙ্গে সেলে না রেখে আলাদা রাখা হয়েছে। তার নিরাপত্তায় দুজন পুলিশ কর্মী ও দুজন নিরাপত্তারক্ষীও রাখা হয়েছে।