শিশুদের ক্ষেত্রে কতটা প্রাণঘাতী করোনা? সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য
শিশুদের ক্ষেত্রে কতটা প্রাণঘাতী করোনা ? সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য
করোনা আবহেই পশ্চিমবঙ্গে কিছুদিন পরেই ফের চালু হতে চলেছে নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পঠনপাঠন, খুলে যেতে চলেছে সমস্ত বিদ্যালয়। এমতাবস্থায় করোনা সংক্রান্ত নতুন এক সমীক্ষা রিপোর্টে ছড়াচ্ছে উত্তেজনা। ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্স ইন্টেন্সিভ কেয়ার চ্যাপ্টার (Indian Academy of Paediatrics Intensive Care Chapter) সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ভারতে প্রায় ২,০০০ শিশুর মধ্যে মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম বা এমআইএস-সি রোগের খোঁজে মিলেছে। স্বাভাবিকভাবেই এহেন অবস্থায় বিদ্যালয় চালু করা কতটা যুক্তিযুক্ত, সে বিষয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
কী এই মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম ?
চিকিৎসকদের মতে, মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোমের ফলে মানবদেহে জ্বরের পাশাপাশি ফুসফুস, মস্তিষ্ক ও হার্টে জ্বলুনির সঞ্চার হয়। যা করোনা সংক্রমণের সাথেও অতোপ্রতো ভাবে জড়িত। জানা যাচ্ছে, এমআইএসের প্রায় ৬০% ক্ষেত্রে হার্টও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমআইএসের উপসর্গ হিসেবে চোখ লাল হওয়া, জ্বলুনি, নিম্ন রক্তচাপ, মারাত্মক জ্বর এবং পাকস্থলীর প্রদাহের মত সমস্যার কথা জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এমনকি এমআইএসের ক্ষেত্রে শিশুদের নিউমোনিয়ার সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন আইএপিআইসিসি প্রধান ডঃ ধীরেন গুপ্তা।
দিল্লিতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা
দিল্লির শ্রী গঙ্গারাম হাসপাতালে প্রায় ১৪০ জন এমআইএস আক্রান্তের কথা জানিয়েছেন ডঃ ধীরেন গুপ্তা। সূত্রের খবর অনুসারে, আক্রান্তদের মধ্যে ইতিমধ্যেই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, শুধুমাত্র বড় শহরগুলিতেই আধুনিক পদ্ধতিতে এমআইএস শনাক্তকরণের বন্দোবস্ত রয়েছে, ফলে সঠিকসময়ে এমআইএস ধরা পড়ে না অধিকাংশ শিশুরই। পাশাপাশি কোভিড চিকিৎসা শুরুর আগে যে স্টেরয়েড ও জ্বলুনিপ্রশমক ঔষধি ব্যবহার আবশ্যক, সে বিষয়েও জানান ডঃ ধীরেন।
কোন উপসর্গগুলি নিয়ে বাড়ছে চিন্তা ?
মারাত্মক জ্বর, স্নায়বিক সমস্যা, শ্বাসনালীর সমস্যার মত উপসর্গগুলিই এমআইএসের ক্ষেত্রে অধিক পরিমাণে দেখা যায়, গবেষণার সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকরা জানান এমনটাই। পাশাপাশি এমআইএস আক্রান্তদের ৯০%-এরই দরকার অতিরিক্ত অক্সিজেন এবং ৬৫%-এর প্রয়োজন ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা। চিকিৎসকদের মতে, "অধিকাংশ ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে ধরা পড়ছে না এমআইএস-সি। স্বাভাবিকভাবেই শিশুদেহে প্রয়োজনের তুলনায় অধিক মারাত্মক হয়ে দেখা দিচ্ছে করোনা!"
বাড়ছে করোনা আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা
বর্তমানে ০-১২ বছরের মধ্যে এমআইএস ও কোভিড আক্রান্তদের নিয়ে সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যালয় খুললে বিপুল সংখ্যক শিশুদের নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে রীতিমত কাঁটা হয়ে রয়েছেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ কোটি ৮ লক্ষ ৫৮ হাজার ৫৫৪। মারা গিয়েছেন ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ২৮১ জন।
সংসদে মোদীর বক্তৃতার সময় গলা চড়ালেন অধীর, আইন ফেরানোর দাবিতে ওয়াকআউট রাহুলদের