বাংলার সীমান্তে গরু পাচার চক্র কোন ছকে চলছে! হাড়হিম করা তথ্য উঠতে শুরু করেছে
বাংলার সীমান্তে গরু পাচার চক্র কোন ছকে চলছে! হাড়হিম করা তথ্য উঠতে শুরু করেছে
সীমান্তে গরু পাচার চক্রের হদিশ ঘিরে রীতিমতো তোলপাড় বাংলার রাজনীতি। বিএসএফ এর তাবড় কর্তার নাম এই পাচার চক্রে জড়াতেই ঘটনা ঘিরে একাধিক বিষয় তদন্তকারীদের স্ক্যানারে আসছে। সীমান্তে এই চক্র কিভাবে বছরের পর বছর সক্রিয় রয়েছে, তা নিয়ে একাধিক তথ্য উঠতে শুরু করেছে।
কোন পথে পাচার?
মূলত
বিহার
থেকে
গরু
এনে
তা
উত্তরবঙ্গের
রুট
ধরে
পাচার
হচ্ছে
বাংলাদেশে।
এই
ছকের
মুল
হোথা
কিথু
রুটম্যান।
এক
নামী
বাংলা
দৈনিকের
খবর
বলছে
,
এই
রুট
ম্যানদের
রমরমা
রয়েছে
উত্তরবঙ্গের
সীমান্ত
জুড়ে।
মূলত,
বাইকে
চড়ে
এই
রুটম্যানরা
গরু
পাচার
চক্র
চালায়।
বাইকবাহিনী
দেখে
নেয়
রাস্তা
কোথায়
ফাঁকা,
সেই
অনুযায়ী
পাচারকারীদের
কাছে
যায়
খবর।
বিএসএফের কর্তার জেরা ও শিলিগুড়ি রুট
উল্লেখ্য,গরু পাচার চক্রের কিংপিন এনামুল হকের একাধিক বাড়ি , সম্পত্তির পরিমাণ দেখে সিবিআই কর্তারা নিজেরাও অবাক। অন্যদিকে, বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমারের জেরা থেকে উঠে এসেছে শিলিগুড়ি রুটের প্রসঙ্গ। সেখানে একটি নামি রেস্তোরাঁতে তিনি বহুবার এসেছেন। শোনা যাচ্ছে, সেই রেস্তোরাঁ যেখানে রয়েছে, সেই এলাকায় বহু লোকজন বিহার থেকে আসতেন। তবে, গরুপাচারে বিহার যোগ ও সতীশ কুমারের জেরা ঘিরে জল্পনা দানা বাঁধছে। জেরা চলছে মুর্শিদাবাদের ব্যবসায়ী তথা পাচার চক্রের অন্যতম হোথা এনামুল হকেরও।
গরু পাচারের রুট ও ছক
বিহারের গোপালগঞ্জ, কিসানগঞ্জ,আরারিয়া থেকে ট্রাক বোঝাই গরু নিয়ে উত্তরবঙ্গের পথে রওনা দেওয়া হয়। যা এরাজ্যে জলপাইগুড়ি, ফাঁসিদেওয়ায় থামে। এরপর রুটের বাকি অংশ শেষ হয় অসমে। সেখানে বাকি ট্রাকে গরু যায় ধুবুরি , গুয়াহাটি এলাকায়। এমনই তথ্য় উঠে এসেছে এক জনপ্রিয় বাংলা দৈনিকের খবরে।
জলপথে পাচার, গ্রেফতারি
সূত্রের খবর, রুটম্যানরা নিজেদের কাজ সেরে বাকিটা হস্তান্তরিত করে। প্রশাসন সূত্রের খবর, এই গরু পাচার নিয়ে সীমান্তে বিভিন্ন গ্যাং দাপটের সঙ্গে পাচার চালাচ্ছে। লকডাউনে সেই চক্র খানিকটা থিতিয়ে পড়লেও, এখন তা আবার মাথাচাড়া দিচ্ছে। গত নভেম্বরে কেচবিহার থেকে প্রায় ৩০০০ জনকে পাচারের দায়ে গ্রেফতার করে পুলিশ।
লোডশেডিং , মুখ বন্ধ গরু এরপর...
সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের দাবি বহু সময় এমনটা হয়েছে, যে মাঝরাতের দিকে হঠাৎ লোড শেডিং হয়ে যায়। শোনা যাচ্ছে, সেই সময়ই ফাঁকতাল বুঝে গরু পাচার হয় সীমান্ত দিয়ে। তার আগে গরু যেন শব্দটি না করে, সেজন্য গরুর মুখ বন্ধ করা থাকে।
পাচার থেকে লাভের অঙ্ক
সূত্রে দাবি, বাংলাদেশে গরুর দাম অনেকটাই বেশি। ইদের সময় এর দাম আরও চড়া হয়। একটি গরু ষাট হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। আর এই সমস্ত গরু বিক্রির জন্য রুটম্যানরা ১০ হাজার টাকা করে পায়। ফলে পাচার চক্র ঘিরে ফুলে ফেঁপে উঠছে রুটম্যানরাও।
বিহারে এনডিএতে ভাঙন প্রায় নিশ্চিত, বিজেপিকে কোন 'আল্টিমেটাম' চিরাগ পাসোয়ানের