ডোকলাম সংঘাতের পর থেকেই ভারত সীমান্তকে 'পাখির চোখ' করেছে চিন! লালফৌজের সেনা ঘাঁটি নিয়ে জল্পনা
বহু রিপোর্টই জানান দিয়েছে যে চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের বিদেশ নীতির অন্যতম অস্ত্র ছিল বিস্তারবাদ। আর তার অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্র ভারত সীমান্ত এলাকা। যবে থেকে চিনের মসনদে জিনপিং বসেছেন, তবে থেকেই ভারতের বিভিন্ন অংশ দখলদারিতে রাখা তাঁর লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে , নয়া রিপোর্ট বলছে ডোকলামে ভারতের কাছে প্রবল সংহার সহ্য করে , চিন ধীরে ধীরে ভারত সীমান্তকে টার্গেট করতে থাকে।
চিনের স্ট্র্যাটেজিক লক্ষ্যে বদল
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগে পর্যন্ত চিনের বিস্তারবাদের নীতি যা ছিল, তার থেকে অনেকটাই আলাদা হতে থাকে ২০১৭ সালের পরের চিনের বিদেশনীতি। ২০১৭ সালে ভুটানকে কেন্দ্র করে ডোকলাম সীমান্তে চিনের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করে ভারত। তারপর থেকেই ভারত সীমান্ত কে টার্গেট করতে থাকে চিন।
রিপোর্ট কী বলছে?
বিশ্বের অন্যতম তাবড় 'জিও পলিটিক্যাল ইন্টালিজেন্স প্লাটফর্ম' হল 'স্টার্টফর', তাদের তরফে প্রকাশিত হতে চলা একটি রিপোর্ট দেখা গিয়েছে, চিন কার্যত ৩ বছর আগে থেকেই ভারত কে টার্গেটে রেখেছে। আর তিন বছর আগেই ২০১৭ সালের ডোকলাম সংঘাত হয়। মনে করা হচ্ছে, নয়া চিনা আস্ফালনের নেপথ্যে ডোকলামের যোগসূত্র রয়েছে।
ভারত সীমান্তে পরিকাঠামো বৃদ্ধি
দেখা গিয়েছে, ভারত সীমান্তে গত ৩ বছর ধরে সেনা ঘাঁটির সংখ্যা ও যুদ্ধবিমান ঘাঁটি দ্বিগুণ করে দিয়েছে চিন। রিপোর্ট বলছে, একাধিক স্যাটেলাইট ছবি দাবি করছে, যে চিনের প্রান্তে এখনও বহু নির্মাণ কাজ চলছে। ফলে এত সহজে সংঘাতের রাস্তা থেকে সরছে না চিন।
১৩ টি নতুন সেনা-অবস্থান!
দেখা গিয়েছে গত কয়েক বছরে ভারত সীমান্তে ১৩ টি নতুন মিলিটারি পজিশন তৈরি করেছে চিন। যারমধ্যে ৪ টি নতুন হেলিপোর্ট রয়েছে। এই হেলিপোর্টগুলি লাদাখ সংঘাতে আবহে তৈরি হয়েছে বলে খবর।