লাদাখ সংঘাতের মাঝে চিন কেন 'মিসাইল ওয়ার্নিং সিস্টেম' পোক্ত করছে! কোন আশঙ্কায় কাঁপছে বেজিং
লাদাখ সংঘাত যুদ্ধবিদ্যার পারদর্শিতা নিয়ে একের পর এক নয়া অধ্যায় তুলে ধরছে। চিন একের পর এক প্য়াঁয়তারা করে লাদাখ সীমান্তে সেভাবে সুবিধাজনক জায়গায় যেতে পারেনি। তবে এরইমধ্যে চিনের একের পর এক সমরসজ্জা ও অস্ত্রনীতি নজর কাড়ছে। এদেরমধ্যে অন্যতম চিনের মিসাইল ওয়ার্নিং সিস্টেম।
চিনের অস্ত্রসজ্জা ও ভারত
ভারত যখন রাফাল নিয়ে যুদ্ধসজ্জায় ব্যস্ত, তখন চিন ধীরে ধীরে নিজের মাটিতে মিসাইল ওয়ার্নিং সিস্টেমকে চাঙ্গা করেছে। চিনের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এই সিস্টেম কার্যকরী হচ্ছে। আর স্যাটেলাইটের ছবিতে তা দেখা যাচ্ছে।
চিনের প্রস্তুতি ১৯৭০ থেকে!
এক সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, চিনের নানজিং গবেষণা কেন্দ্রে ১৯৭০ সাল থেকেই চিন এই ধরনের সমরাস্ত্র নিয়ে গবেষণা করে গিয়েছে। আর তারফল হিসাবে চিনের মাটিতেই ১৯৮৬ সালে লার্জ ফেজড অ্যারে ব়্যাডার এসেছে। এই ব়্যাডারে চিন বালাস্টিক মিসাইল সম্পর্কে খোঁজ পাবে।
কেন চিন মিসাইল ওয়ার্নিং ব্যবস্থা পোক্ত করছে?
উল্লেখ্য, মার্কিন ফেডারেশেন অফ সায়েন্টিস্টস এর রিপোর্ট বলছে, ভারতের পরমাণু দক্ষতা অনেকটাই বেড়েছে। পরমাণু অস্ত্রের প্রেক্ষিতে ভারত অনেক আগেই বহু দেশকে ছাপিয়ে গিয়েছে। আর সেটাই মাথাব্যথার কারণ হে গিয়েছে চিনের। ফলে মিসাইল নিয়ে সতর্কতাক রাস্তা ছাড়া বেজিং এর আর কোনও উপায় নেই।
ব়্যাডার ও চিন
চিনের কারাকোরাম পাসের কাছে কোরলা বেসে রয়েছে একটি শক্তিশালী ব়্যাডার। এমনই তথ্য দিচ্ছে স্যাটেলাইট চিত্র। এই ব়্যাডার ৫ সেন্টিমিটার ছোট অস্ত্রকেও খুঁজে বের করতে পারে, আর তাকে বিনাশও করতে পারে। হিমালয়ের কোলে চিনের কম্পা পাসের কাছে আরও একটি ব়্যাডার স্টেশন রয়েছে। ২০০৮ থেকে এই স্টেশন সম্পূর্ণ অটোমেটেড। যার দিকে সতর্ক নজর রয়েছে দিল্লির।