সিএএ-এনআরসি ঝড় সামলেও অসম-বিজেপি 'খেলা' ঘুরিয়ে দিল, ভোট জেতার হাইভোল্টেজ ফ্যাক্টর একনজরে
সিএএ-এনআরসি ঝড় সামলেও অসম-বিজেপি 'খেলা' ঘুরিয়ে দিল, ভোট জেতার হাইভোল্টেজ ফ্যাক্টর একনজরে
'সোনার বাংলা' নয়, 'বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়' তা এবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন ২০২১ এর ভোট জানান দিয়েছে। বাংলার ভোটের ট্রেন্ডে আপাতত স্পষ্ট যে তৃতীয় বারের জন্য বাংলায় সরকার গড়তে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার সুনামির কাছে কার্যত পর্যুদস্ত মোদী-ঝড়। এই জায়গা থেকে প্রশ্ন উঠছে যেখানে সিএএ, এনআরসি-র মতো ইস্যু ব্য়াপকভাবে মাথাচাড়া দিয়েছে সেই অসমে বিজেপি কার্যত হাওয়া ঘুরিয়ে দিয়েছে। অসমে এনআরসির জেরে যেখানে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া তুমুল চেহারা নেয়, সেখানে কীভাবে বিজেপি ভোট যুদ্ধ মাত করল দেখা যাক।
অসমের ভোটের ফলাফল
৬৪ ছিল ম্যাজিক ফিগার। তা সকাল সকালই পার করেছে বিজেপি জোট। এরপর ১২৬ আসনের অসমে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ৫৮ টি আসন দখল করেছে। যেখানে কংগ্রেস ৩১ টি । অসমের মেরুকরণের রাজনীতিতে এআইইউডিএফ একটি বড় ফ্যাক্টর হলেও তারা ১৫ টি আসন দখলে রেখেছে।
বিজেপির জয়-ফ্যাক্টর
প্রসঙ্গত, অসমে বিজেপির তরফে পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে জয় পান্ডাকে। ওড়িশার এই দাপুটে নেতা রীতিমতো খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছেন। কংগ্রেস থেকে কিছু হেভিওয়েট জয় দায়িত্ব নেওয়ার পর বিজেপিতে যেমন এসেছেন, তেমনই প্রচার পারদ তুঙ্গে উঠেছে অস বিজেপিতে "জয়' এপ আগমনে।
সিএএ-এনআরসি নিয়ে অবস্থান
বিজেপি মূলত, অসমের বুকে এনআরসির পর সিএএ ইস্যুতে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়ে। রাজনৈতিক আঁচ বুঝে ধীরে ধীরে সিএএ স্টান্স পাল্টে ফেলে অসম বিজেপি। আর তার ফলই পায় তারা। সিএএ নিয়ে নিজেদের গোঁড়া মনোভাব থেকে বিজেপির স্টান্স সরতেই অসমের হাওয়া গেরুয়া শিবিরের দিকে ঘুরে যায় বলে দাবি অনেকের।
উন্নয়ন
অসম জুড়ে পরিকাঠামোগত যে পরিবর্তন এসেছে তা স্পষ্ট। ব্রিজ, রাস্তা, হাসপাতাল শিক্ষা সমস্ত দিক দিয়েই বিজেপি সরকারের চেষ্টা ও উদ্যোগ চোখে পড়ার মতো করে এগিয়ে যায় । সেই পথ ধরেই বিজেপি এই রাজ্যে নিজের প্রবল দাপট ধরে রাখে।
মুখ্যমন্ত্রীর মুখ
বাংলার
ভোটে
বঙ্গ
বিজেপির
ধরাশায়ী
অবস্থার
নেপথ্যে
মুখ্যমন্ত্রীর
মুখ
হিসাবে
কাউকে
তুলে
না
ধরার
ঘটনাই
কি
প্রকট
হচ্ছে?
এই
প্রশ্ন
যখন
ঘোরাফেরা
করছে
,
তখন
অসম
বিজেপিতে
২
জন
মুখ্যমন্ত্রীর
মুখ
হিসাবে
উঠে
এসেছেন।
একজন
হিমন্ত
বিশ্বশর্মা
অন্যজন
অবশ্যই
বর্তমান
মুখ্যমন্ত্রী
সর্বানন্দ
সোনোয়াল।