দেশজুড়ে ৯ মিনিটের ব্ল্যাকআউট সামাল দিতে নেওয়া হচ্ছে কোন পদক্ষেপ?
জনতা কার্ফুর পর ফের একবার দেশবাসীর কাছে সময় চাইলেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী রবিবার, অর্থাৎ ৫ এপ্রিল জেশবাসীর কাছে করোনা লড়াইয়ে ৯ মিনিট সময় চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে আগের বারের মতো বিকালের বদলে এবার তিনি সময় চাইলেন রাতের বেলা।
দেশবাসীর উদ্দেশে যা বলেন প্রধানমন্ত্রী
শুক্রবার এক টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, 'লকডাউন চলাকালীন দেশের সমস্ত জনগণ অনুশাসন ও সেবার অভূতপূর্ব পরিচয় দিয়েছে। এই করোনা মোকাবিলায় এক হয়েছে শাসন, প্রশাসন ও জনতা। এরা সকলে মিলে এই পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ২২ মার্চ আপনারা যারা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করা মানুষদের জন্য থালা বাজিয়েছিলেন তাদের আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। দেশ তখনই বুঝিয়ে দিয়েছিল যে দেশ এখ হয়ে লড়তে পারে।'
ব্ল্যাকআউটের আবেদন কেন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেন, '৫ এপ্রিল রবিবার রাত ৯ টায় সকলের ৯ মিনিট চাইছি। ৫ এপ্রিল রাত ৯টায় ঘরের সমস্ত লাইট জ্বালিয়ে ঘরের বাইরে , বারান্দায় দাঁড়িয়ে ঘরের লাইট বন্ধ রাখুন। মোমবাতি, বা মোবাইলের লাইট জ্বালান। এই আলোর উজ্জ্বলতায় করোনার অন্ধকার দূর হবে। এই আলোর আয়োজনের সময় , রাস্তায় বা পাড়ায় যেন কেউ না বের হন। নিজের ঘরের ব্যালকনি থেকেই এই আলো জ্বালানোর উদ্যোগ নিতে হবে।'
প্রধানমন্ত্রীর আবেদনের পর উচ্চপর্যায়ের বৈঠক
প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করে বিদ্যুত মন্ত্রক। বিদ্যুতমন্ত্রী আরকে সিং ও পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের উচ্চপদস্থ কর্তারা এই বৈঠকে যোগ দেন। এই বৈঠকেই মন্ত্রী ও কর্তারা আলোচনা করেন যে প্রধানমন্ত্রীর এই আবেদনের জেরে কী প্রভাব পড়বে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে।
কী সমস্যা হবে?
জানা গিয়েছে, লকডাউনের জেরে কলকারাখানা বন্ধ। ফলে এমনিতেই চাহিদা তলানিতে। এর ওপর যদি সবাই আলো বন্ধ করে দেন তাহলে গ্রিডের ওপর মারাত্মক চাপ পড়বে, এই নিয়েই উদ্বেগ। বাণিজ্যিক কাজ কর্মের অভাবে এই মুহূর্তে চাহিদা প্রায় ৩০ শতাংশ কম। এর ওপরে অত দ্রুত চাহিদার চড়াই-উতরাই নিয়ে চিন্তা।
কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে?
আসলে নটার সময় সবাই যদি আলো নিভিয়ে দেয় ও তারপর নটা দশ নাগাদ আবার চালু করে তাহলে অল্প সময়ের মধ্য ১০-১৫ গিগাওয়াট লোড কমে গিয়ে আবার ফিরে আসবে। আর এই পরিস্থিতিতে সব স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনে হাইড্রো ও গ্যাস পাওয়ারের ব্যাকআপ। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছেল এই সব ব্যবস্থাই রাখা হবে।