কোভিড বিধি না মানলে ১ জন রোগীর থেকে ৩০ দিনে কীভাবে ছড়াতে পারে সংক্রমণ, সাবধানবাণী নয়া রিপোর্টে
কোভিড বিধি না মানলে ১ জন রোগীর থেকে ৩০ দিনে কীভাবে ছড়াতে পারে সংক্রমণ, সাবধানবাণী নয়া রিপোর্টে
উপসর্গ দেখলেই তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আগে টেস্ট করানোর বার্তা বহু বিশেষজ্ঞ দিচ্ছেন। আর তা না হলে একজন কোভিড রোগীর থেকে কীভাবে এই মারণ ভাইরাস ৩০ দিনে হু হু করে ছড়িয়ে যাবে, তার খানিকটা হিসাব দিচ্ছে নয়া রিপোর্টের পরিসংখ্যান।
করোনা ধাক্কায় প্রভাব রেলপথে, বাতিল ৪০টি দূরপাল্লার ট্রেন, জেনে নিন কোনগুলি
মাস্ক, সোশ্যাল ডিসটেন্সিং জরুরি
কেন্দ্রের নয়া রিপোর্ট বলছে, সোশ্যাল ডিসটেন্সিং না থাকলে হু হু করে বেড়ে যেতে পারে করোনার সংক্রমণ। কারণ ভাইরাসের নয়া স্ট্রেন কার্যত ছড়িয়ে পাড়ার ক্ষেত্রে পটু! এমন অবস্থায় মাস্ক পরা অত্যন্ত জরুরি। আর তার সঙ্গে আবশ্যিক সোশ্যাল ডিসটেন্সিং। কার্যত বিশেষজ্ঞরা মাস্ককে একটি পোথ্য হিসাবেই দেখছেন।
১ জনের থেকে কতজন আক্রান্ত হতে পারেন?
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে একজন কোভিড রোগীর থেকে ৩০ দিনে ৪০৬ জন আক্রান্ত হতে পারেন, যদি সঠিক সোশ্য়াল ডিসটেন্সিং বা মাস্কের ব্যবহার না হয়। যদি কোনও ব্যক্তি কোভিড পজিটিভ হওয়ার পর নিজেকে ঘরবন্দি রেখে সোশ্যাল আইসোলেশনের রাস্তা নেন তাহলে তা সবচেয়ে ভালো। আর যদি বাইরের জগতের থেকে তিনি ৫০ শতাংশ নিজকে গুটিয়ে নেন, তাহলে ৩০ দিনে ১৫ জনকে আক্রান্ত করতে পারবেন তিনি।
সতর্কতা জরুরি
কেন্দ্রের দেওয়া রিপোর্ট বলছে, যদি করোনার জেরে একজন রোগী নিজেকে ৭৫ শতাংশ গুটিয়ে নেন, তাহলে ৩০ দিনে ২.৫ জন আক্রান্ত হতে পারেন। ফলে করোনা ছড়িয়ে পড়ার থেকে একজন রোগীই সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব নিয়ে সমাজকে রক্ষা করতে পারেন।
৬ ফুটের দূরত্ব আবশ্যিক
করোনার এই বাড়-বাড়ন্ত ঠেকাত একজনের সঙ্গে অন্যজনের ৬ ফুটের দূরত্ব আবশ্যিক। এক্ষেত্রে কেন্দ্রের তরপে বলা হচ্ছে, মাস্কের ব্যবহার না হলে ৯০ শতাংশ সুযোগ থেকে যাচ্ছে করোনা একজন মানুষের থেকে অন্য জনের ছড়িয়ে পড়ার।