মৃতদেহ গাড়িতে নিয়ে খরচ না বাড়িয়ে, হাড়গোড় ভেঙে দলা পাকিয়ে ব্যাগে ভরে হাঁটা দিল পুলিশ
বালাসোর, ২৬ অগাস্ট : বৃহস্পতিবারই সামনে এলেছিল একটি খবর যেখানে ওড়িশার এক দরিদ্র ব্যক্তি শববাহী গাড়ি না পেয়ে কাঁধে চাপিয়েই স্ত্রীর দেহ নিয়ে ১০ কিলোমিটার হেঁটেছিলেন। এদিন সামনে এস আর একটি হাড়হিম করা সংবাদ। সেটাও এই ওড়িশাতেই। [মৃত স্ত্রীর দেহ কাঁধে ১০ কিলোমিটার পথ হাঁটলেন স্বামী]
ওড়িশার বালাসোরের একটি হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী একটি মৃতদেহের উপরে উঠে পা দিয়ে কোমরের দিকটা ভেঙে মৃতদেহকে দুটি ভাঁজে মুড়ে একেবারে বান্ডিল করার মতো করে মুড়ে ফেলল। [ভিআইপি মন্ত্রীকে জুতো পরিয়ে দিলেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষী]
জানা গিয়েছে, দুজন কর্মী এই কাজটি করেছেন। বালাসোর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সোরো শহরের বাসিন্দা সালামণি বারিক (৭৬) ট্রেনে কাটা পড়েন। তাঁর দেহ বালাসোরের হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসার কথা হয়। [যে কোনও সময়ে ভেঙে পড়তে পারে পুরীর জগন্নাথ মন্দির]
মৃতদেহ গাড়িতে করে নিয়ে আসতে হলে অনেক টাকা খরচ পড়বে। সেই টাকা বাঁচাতে পুলিশের নির্দেশে ওই দুই হাসপাতাল কর্মী মৃতদেহের উপরে উঠে পা দিয়ে মাড়িয়ে হাড়গুলো ভেঙে সালামণির দেহ দলা পাকিয়ে নেন। এরপরে সেই দেহ কাপড়ে বেঁধে বাঁশে ঝুলিয়ে নিয়ে আসা হয়। [বারাণসীতে বাড়ির ছাদকে শ্মশানঘাট বানিয়ে চলছে শেষকৃত্য]
সালামণির ছেলে রবীন্দ্র বারিকের অভিযোগ, তাঁর মাকে একেবার দলা পাকিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এই কাজের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের সঙ্গে যেন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এই ঘটনা জানতে পেরেই ওড়িশার রাজ্য মানবাধিকার কমিশন হস্তক্ষেপ করেছে। পুলিশ ও বালাসোর জেলা প্রশাসনের কাছে কৈফিয়ত দাবি করা হয়েছে। দানা মাঝির স্ত্রীর শবদেহ নিয়ে হাঁটার পরই এই ঘটনা সামনে আসায় ওড়িশা প্রশাসন বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে।
যেখানে রাজ্য়ের ৩৭টি সরকারি হাসপাতালে শবদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য ৪০টি শববাহী গাড়ি রয়েছে, সেখানে দানা মাঝির ঘটনা বা মৃতদেহ ভেঙে-মুড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো নৃশংস ঘটনা কীকরে ঘটছে তা নিয়েই বিরোধীরা সরব হয়েছেন।