নর্দমার জলের নমুনা পরীক্ষায় ভয়াবহ রিপোর্ট! সম্ভাব্য ৬ লক্ষ কোভিড আক্রান্তের খোঁজ হায়দরাবাদে
নর্দমার জলের নমুনা পরীক্ষায় ভয়াবহ রিপোর্ট! সম্ভাব্য ৬ লক্ষ কোভিড আক্রান্তের খোঁজ হায়দরাবাদে
গত ৩৫ দিনে শুধু হায়দ্রাবাদে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৬ লক্ষ মানুষ। নর্দমা এবং শহরের নিকাশি নালাগুলি থেকে সংগৃহিত নমুনা পরীক্ষা করে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছে হায়দ্রাবাদের সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি(সিসিএমবি) ও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল টেকনোলজি(আইআইসিটি)-এর একটি যৌথ গবেষণা।
নিকাশি নালা থেকে প্রাপ্ত ভাইরাস অসংক্রামক
সিসিএমবি ও আইআইসিটির যৌথ উদ্যোগে সংঘটিত গবেষণায় হায়দরাবাদের ১০ টি সিউয়েজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট(এসটিপি) থেকে নমুনা নেওয়া হয় ও একটি বদ্ধ গোষ্ঠীকে নমুনা হিসেবে চিহ্নিত করা হয় পরীক্ষার জন্য। সমীক্ষকদের মতে, নিকাশি থেকে সংগৃহীত এসএআরএস-সিওভি-২ আরএনএগুলি একেবারেই সংক্রামক নয়, ফলত এগুলিকে গবেষণার কাজে লাগানো যেতে পারে এবং এর মাধ্যমে হায়দ্রাবাদে এত কম সময়ে গোষ্ঠী সংক্রমণের রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে।
এসটিপিগুলির সহায়তায় চলছে গবেষণা
গবেষকদলের মতে, "আক্রান্ত হওয়ার দিন থেকে প্রায় ৩৫ দিন পর্যন্ত কোনও ব্যক্তির মলমূত্রে ভাইরাসের প্রমাণ পাওয়া যায়। ফলত গত একমাসের হিসেব পাওয়া সম্ভব। প্রত্যহ হায়দপাবাদে যে ১৮০ কোটি লিটার জল ব্যবহৃত হয়, তার প্রায় ৪০% এই এসটিপিগুলির মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণ হয়।" সিসিএমবি ও আইআইসিটি যৌথভাবে এই গবেষণা চালাচ্ছে বলে খবর সূত্রের।
কোভিড সংক্রমণের নিরিখে তেলেঙ্গানার থেকেও এগিয়ে হায়দরাবাদ
গবেষণার সঙ্গে যুক্ত এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "এই সমীক্ষার আওতায় হায়দ্রাবাদের প্রায় ৮০% এসটিপিকে আনা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, প্রায় ২ লক্ষ মানুষের রেচনে ভাইরাসের প্রমাণ মিলেছে, কিন্তু হায়দ্রাবাদের মোট নিকাশির মাত্র ৪০% এসটিপি প্ল্যান্টে পৌঁছায়, তাই হিসাব অনুযায়ী শহরের প্রায় ৬ লক্ষ মানুষ উপসর্গযুক্ত বা উপসর্গহীনভাবে কোভিড আক্রান্ত।" বুধবার পর্যন্ত অন্ধ্রপ্রদেশে মোট আক্রান্ত ৯৫,৭০০ জন, যার মধ্যে প্রায় ৫০-৬০% হায়দরাবাদের।
উপসর্গহীন আক্রান্তের সংখ্যাই বেশি
সিসিএমবির পরিচালনা অধিকর্তা ডঃ রাকেশ মিশ্র জানিয়েছেন, "আমাদের এই গবেষণায় এটা অন্তত স্পষ্ট যে হায়দ্রাবাদ জুড়ে উপসর্গহীনভাবে আক্রান্তদের এখনও পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হয়নি। ফলে মৃত্যুহারও কম এবং এটাও স্পষ্ট যে আক্রান্তের সংখ্যা এত বেশি হওয়া সত্ত্বেও স্বাস্থ্য পরিকাঠামো কিভাবে এত পরিমাণ রোগীর চাপ বহন করতে সক্ষম হয়েছে।" তিনি আরও জানিয়েছেন, "ভারতের ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যের হটস্পট এলাকাগুলিতে এই উপায়ে সমীক্ষা করতে পারলে তা কোভিড গবেষণার ক্ষেত্রে লাভজনক হবে।"
করোনাকালেই বিশ্ব রেকর্ড অ্যাপেলের! ২ ট্রিলিয়ন ডলার সম্পত্তির মালিক হল মার্কিন টেক জায়েন্ট