Bihar hooch tragedy: বিষমদ খেয়ে সারানে মৃত দুই! চোখ নষ্ট বহু মানুষের
ফের বিহারে বিষমদ খেয়ে মৃত্যু মিছিল! অসুস্থ বহু। সারান জেলার পানাপুর থানা এলাকার রামদাস পুর গ্রামে দুজনের মৃত্যু হয়। চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি বেশ কয়েকজনের চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। আহতদে
ফের বিহারে বিষমদ খেয়ে মৃত্যু মিছিল! অসুস্থ বহু। সারান জেলার পানাপুর থানা এলাকার রামদাস পুর গ্রামে দুজনের মৃত্যু হয়। চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি বেশ কয়েকজনের চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। আহতদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে কীভাবে মৃত্যু তা এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে বিষমদ খেয়েই যে মৃত্যু তা কার্যত নিশ্চিত জেলা প্রশাসন। তবে কীভাবে বিষমদ এল তা নিয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় মানুষজনকেও জেরা করে গোটা ঘটনার তদন্ত চালানো হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, নিহতদের মধ্যে ওই গ্রামের ভিখারি শাহের ২৫ বছর বয়সী ছেলে মিন্টু শাহ ও হরেন্দ্র প্রসাদের ২৭ বছর বয়সী ছেলে রোহিত প্রসাদ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে অসুস্থ ব্যক্তিরা সুনীল কুমার, রেমাল দাস এবং রাজেন সিং বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনায় মৃত মিন্টু শাহের স্ত্রী জানিয়েছেন, সোমবার রাতে তাঁর স্বামী মদ খেয়েই বাড়ি ফিরেছিল। বেশ কয়েক গ্লাস মদ খেয়েছিল বলেও দাবি ওই মহিলার। শুধু তাই নয়, ওই মহিলা জানিয়েছেন, বাড়িতে ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁর স্বামী। লাগাতার বমি করতে শুরু করে। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মিন্টু শাহের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
ঘটনার পরেই গোটা এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ। নজরদার এড়িয়ে দিনের পর দিন মদের ব্যবসা চলারও অভিযোগ এলাকার মানুষের। অন্যদিকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা রোগীরা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে পানাপুর বাজারের সামনের একটি স্থানে ৫-৬ জন বসে মদ খাওয়া হয়। কিন্তু তা শেষ করার পরেই সমস্ত লোকজন যে যার যার বাড়িতে ফিরে যায়।
তবে মদ নিষিদ্ধ বিহারে কীভাবে তা এল সে বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে ওই ব্যক্তিরা কিছু জানানি বলে খবর। তবে ওই মদ খাওয়ার পরেই শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে দাবি রোগিদের। তাঁরা জানিয়েছে, মাঝে মধ্যেই চোখে তাঁরা অন্ধকার দেখছেন। মোটেই শারীরিক অবস্থা ভালো নয় বলে দাবি।
স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। পরিস্থিতি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের কাছ থেকে বয়ান নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি পুলিশ প্রশাসনের।