ফেসবুকে পাকিস্তানি মহিলার ফাঁদ! শ্রীঘরে জওয়ান
সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয়ের শুরুটা হয়েছিল হ্যালো আর হাই দিয়ে। এপাড়ে সেনা জওয়ান সম্বিত। অন্যদিকে পাকিস্তানি এজেন্ট।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয়ের শুরুটা হয়েছিল হ্যালো আর হাই দিয়ে। এপাড়ে সেনা জওয়ান সম্বিত। অন্যদিকে পাকিস্তানি এজেন্ট। তবে তার পরিচয় ছিল জম্মুর কলেজ ছাত্রী। ফাঁদে পড়ে গ্রেফতার হয় সেনা জওয়ান সম্বিত। আদালত আপাতত ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে হরিয়ানার বাসিন্দা ২০১৬-য় সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া অভিযুক্ত সম্বিত সিংকে।
ফাঁদে সেনা জওয়ান
নিজেকে সেনা জওয়ান পরিচয় দেওয়ার ছবির দাবি করা হয় অপর প্রাপ্ত থেকে। আস্তে আস্তে ফাঁদে পড়ে যায় ওই সেনা জওয়ান। ট্যাঙ্ক, অস্ত্রবাহী গাড়ি, অস্ত্র ভাণ্ডার আর সেনাবাহিনীর অবস্থান। খোলা মনে সবকিছুর ছবিই দেয়, নিজের পরিচয়কে প্রমাণ করতে। গ্রেফতার হওয়ার একদিন পরে তদন্তে এইসব তথ্যই সামনে এসেছে।
অভিযুক্ত সেনা জওয়ানের ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। জানিয়েছেন, পুলিশ সুপার হরিচরণ মীনা। অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের একাধিক ধারায় ওই সেনা জওয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
নজরদারিতে ধৃত জওয়ান
সেনা জওয়ানের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় সেনা গোয়েন্দাদের তরফে নজরদারি চালানো হয়। তখনই ধরা পড়ে ওই জওয়ান।
প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছে শুধুমাত্র গুপ্তচর বৃত্তিই নয়, তথ্যের ভিত্তিতে ওই সেনা জওয়ানকে টাকা দেওয়া হত। তদন্তকারী দলের এক সদস্য জানিয়েছেন, কয়েক মাস আগেকার একটি সূত্র ধরে এগনো হয়। সেই সময় সম্বিতকে গুপ্তচর বৃত্তির জন্য ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। সন্দেহ এড়াতে অভিযুক্তের ভাইয়ের অ্যাকাউন্টে সেই টাকা দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও নিজের ই-ওয়ালেটে টাকা নিয়েছিল সম্বিত।
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ফাঁদ
কীভাবে
পাকিস্তানের
এজেন্টদের
খপ্পরে
পড়লেন
ওই
সেনা
জওয়ান।
উত্তরে
ওই
অফিসার
জানিয়েছেন,
প্রায়
সাতমাস
আগে
সোশ্যাল
নেটওয়ার্কিং
সাইটের
মাধ্যমে
বন্ধু
পাকায়
ওই
সেনা
জওয়ান।
যদিও
অপর
প্রান্তে
থাকা
পাক
এজেন্ট
নিজের
পরিচয়
দেয়
অনিকা
চোপড়া
নামে।
অনলাইন
চ্যাট
থেকে
ভিডিও
চ্যাট।
এরপর
তারা
সেক্স
ম্যাসাজও
দেওয়া
নেওয়া
করে।
এরই
মধ্যে
সেনা
জওয়ানের
কাছ
থেকে
সেনা
বাহিনীর
অবস্থান
সংক্রান্ত
তথ্য
আদায়
করে
ওই
পাক
এজেন্ট।
করাচি থেকে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট
পুলিশের সন্দেহ অনিকা চোপড়ার অ্যাকাউন্টটি ভুয়ো। যা পরিচালিত হত পাকিস্তানের করাচি থেকে।