কী হতে চলেছে তৃতীয় দফা লকডাউনে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নয়া নির্দেশিকা জানুন বিস্তারিত
কী হতে চলেছে তৃতীয় দফা লকডাউনে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নয়া নির্দেশিকা জানুন বিস্তারিত
দেশের করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে লকডাউন আরও ২ সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তৃতীয় দফার লকডাউন কীভাবে মেনে চলা হবে তার একটি সুনির্দিষ্ট গাইডলাইনও দিেয়ছে মন্ত্রক। দেশের সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে এই গাইডলাইন মেনে চলতে হবে।
জোন ভিত্তিতে কাজ হবে লকডাউনে
করোনা সংক্রমণ রুখতে গোটা দেশকে তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। রেড, অরেঞ্জ এবং গ্রিন জোন। যেখানে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ সেখানে রেডজোন। অপেক্ষাকৃত কম সংক্রমণ যেথানে সেখানে অরেঞ্জ জোন। আর যেখানে একেবারেই সংক্রমণ নেই সেটা গ্রিন জোন। উল্লেখযোগ্য ভাবে নয়া গাইডলাইনে গোটা দেশেই রেডজোনের সংখ্যা বেড়েছে।
গতিবিধিতে বিধি নিষেধ
তৃতীয় দফার লকডাউনেও যথারীতি বন্ধ থাকছে বিমান, রেল, মেট্রো এবং সড়ক পরিবহণ। গোটা দেশে কোথাও এই তিনটি পরিবহণ চলবে না। আন্তরাজ্য গতিবিধিও বন্ধ রাখা হয়েছে। রেডজোনে পুলিসের পারমিট ছাড়া কোনও যান রাস্তায় নামবে না। ব্যক্তিগত গাড়ি, স্কুটার, বাইকের ক্ষেত্রেও এই একই নির্দেশ বহাল থাকবে। বিশেষ করে নজর রাখা হবে রেড জোনের কান্টাইনমেন্ট এলাকার উপর। স্কুল, কলেজ এবং সবরকম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এছাড়াও অটো রিকশা, রিকথা, টোটো চলাচলও বন্ধ থাকবে রেডজোনে। সেলুন, স্পা, বিউটি পার্লার, বন্ধ থাকবে গোটা দেশে। আগেও এই নির্দেশিকা ছিল। কোনও রকম উৎসব অনুষ্ঠান জমায়েত করা যাবে না গোটা দেশে। লকডাউন উপেক্ষা হচ্ছে বুঝতে পারলে স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লীষ্ট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করতে পারেন। সব জোনেই ৬৫ বছরের উপরে প্রবীণ ব্যক্তি, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এবং ১০ বছরের কম বয়সীদের বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রয়োজন ছাড়া তাণরা বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। সকাল ৭টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত অত্যাবশ্যকীয় পন্য পরিষেবা পাওয়া যাবে।
কিছু ক্ষেত্রে ছাড়
রেড জোনও কিছু ক্ষেত্র ছাড় দেওয়া হয়েছে। যেমন ব্যক্তিগত চার চাকার গাড়িতে অনুমতি সাপেক্ষে ২ জন চড়তে পারবেন। মোটর বাইক এবং স্কুটারে এক জন ছাড়া যাওয়া যাবে না। শহরাঞ্চলে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য উৎপাদন কারখানা খোলা যাবে। ওষুধ কারখানা খোলা থাকবে। মিডিয়া, আইটি, কলসেন্টার সহ একাধিক ক্ষেত্র খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে রেডজোনে। তবে কোনও ভাবেই শপিংমল, মার্কেট কমপ্লেক্স খোলা যাবে না। তবে পাড়ার মুদির দোকান খুলতে পারে। জুট কারখানা খোলা যাবে তবে তার জন্য সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে শিফটে কাজ করতে হবে। হাইটি হার্টওয়্যার কারখানাও খোলা যাবে রেড জোনে এমনই জানানো হয়েছে।
অরেঞ্জ জোন ও গ্রিন জোনে ছাড়
অরেঞ্জ জোনে একাধিক ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে ট্যাক্সি চালানো গেলে চালক একজন প্যাসেঞ্জারই নিতে পারবেন। অটো রিকশার েক্ষত্রেও এই নিয়মই বহাল থারবে। এছাড়া অত্যাবশ্যকীয় পন্যের দোকান ছাড়াও অন্যান্য জিনিসের দোকান খোলা যাবে যেমন হার্ড ওয়্যার, রং, ইলেকট্রিক, ড্রাইক্লিনার্সের দোকান খোলা যাবে। গ্রিন জোনে সবক্ষেত্রেই ছাড় দেওয়া হয়েছে।