ব্যাঙ্কের কাছে অ্যাকাউন্ট বন্ধের আর্জি জানায় মিশনারিজ অব চ্যারিটিজই! বিবৃতি কেন্দ্রের
মিশনারিজ অব চ্যারিটিজের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়ার অভিযোগ। সমস্ত অ্যাকাউন্ট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এহেন নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ কেন্দ্রের তরফে। আর তা সামনে আসার পরেই কার্যত হুলস্থুল কাণ্ড। এমনকি শুরু হয়েছে জোর
মিশনারিজ অব চ্যারিটিজের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়ার অভিযোগ। সমস্ত অ্যাকাউন্ট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এহেন নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ কেন্দ্রের তরফে। আর তা সামনে আসার পরেই কার্যত হুলস্থুল কাণ্ড। এমনকি শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজাও।
যদিও সন্ধায় কেন্দ্রের তরফে সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের পালটা দাবি, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে অ্যাকাউন্ট বন্ধের আর্জি জানায় মিশনারিজ অব চ্যারিটিজই। আর এহেন বিবৃতি ঘিরে নতুন করে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। বাড়ছে রহস্যও।
গোটা বিশ্বজুড়ে সুখ্যাতি রয়েছে মিশনারিজ অব চ্যারিটিজের। মাদার টেরিসার হাত ধরে এই প্রতিষ্ঠানের জন্ম। বছরের পর বছর মানুষের সেবায় কাজ করে যায় এই সংস্থা। দেশ-বিদেশের নজরে এই সংস্থা। সেখানে দাঁড়িয়ে এই খবর সামনে আসার পরেই কার্যত চরম বিতর্ক তৈরি হয়।
মিশনারিজ অব চ্যারিটিজের কর্মী থেকে শুরু করে চিকিৎসাধীন প্রায় ২২ হাজার মানুষকে নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। উদ্বেগ প্রকাশ করে টুইট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যা দিল্লির কানেও পৌঁছে যায়।
তড়িঘড়ি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করে। সন্ধায় মন্ত্রকের তরফে দেওয়া বিবৃতিতে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, তাঁদের তরফে কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। অন্তত অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা নিয়ে কোনও নির্দেশ যায়নি। বরং পুরো বিষয়টির দায় মিশনারিজ অব চ্যারিটিজেরের উপরেই চাপানো হয়।
কেন্দ্র তাঁদের বিবৃতিতে জানায় যে, মিশনারিজ অব চ্যারিটিজ সম্প্রতি স্টেট ব্যাঙ্কক অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করার কথা বলে। তবে বিদেশি মুদ্রা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কেন্দ্রীয় অনুমোদন দেওয়া হয়নি মিশনারিজ অব চ্যারিটিকে। সেটা কিছু শর্ত পূরণ না হওয়ার জন্য বলেও দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের। তাহলে অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ হল কীভাবে? তা নিয়ে তৈরি হয় রহস্য।
যদিও এরপর মিশনারিজ অব চ্যারিটিজের তরফেও একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, তাঁদের এফসিআরএ রেজিস্ট্রেশন বাতিল বা সাসপেন্ড করা হয়নি। কেন্দ্রের তরফে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার কোনও নির্দেশও আসেনি। তবে, তারা জানতে পেরেছে যে এফসিআরএ রেজিস্ট্রেশনের পুনর্নবীকরণ করা হয়নি। আর সেদিকে তাকিয়ে সংগঠনের তরফে সবাইকে অ্যাকাউন্টগুলিকে না ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে মাদারের তৈরি এই সংগঠনের তরফে।
যদিও এই নিয়েও তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। মিশনারিজ অব চ্যারিটিজের তরফে দেওয়া বিবৃতিটি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন ডেরেক ও ব্রায়েন। তাঁর দাবি, কেন্দ্র নোংরা রাজনীতিতে নেমেছে। এমনকি চাপ সৃষ্টি করেই তা বলানো হয়েছে বলেও দাবি তাঁর।
অন্যদিকে পালটা ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর মতে, গোয়াতে ওনার পার্টির লোককে বলছে তৃণমূল বিভেদের রাজনীতি করে। এটাই করে ওরা। শুধু তাই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলার লজ্জা বলেও কটাক্ষ শুভেন্দুর।