উল্লেখ নেহরু-লিয়াকত চুক্তির! নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ঐতিহাসিক ভুলের সংশোধন, বললেন অমিত শাহ
ঐতিহাসিক ভুলকে সংশোধন করা হচ্ছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯-এর মাধ্যমে। এদিন রাজ্যসভায় এমনটাই বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন তিনি বিরোধীদের প্রশ্ন নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তোলেন।
ঐতিহাসিক ভুলকে সংশোধন করা হচ্ছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯-এর মাধ্যমে। এদিন রাজ্যসভায় এমনটাই বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন তিনি বিরোধীদের প্রশ্ন নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তোলেন। প্রসঙ্গত বিরোধীরা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এদিন রাজ্যসভায় শিবসেনার পাশাপাশি কংগ্রেসকেও আক্রমণ করেন অমিত শাহ।
নেহরু-লিয়াকত চুক্তির উল্লেখ
অমিত শাহ বলেন, ধর্মীয় লাইনে দেশ বিভাজন হয়েছিল, তা তিনি আগেই বলেছেন। বিরোধীরা অমিত শাহের এই বক্তব্যের বিরোধিতা করায়, অমিত শাহ ১৯৫০ সালের নেহরু লিয়াকত চুক্তি থেকে কিছু অংশ তুলে ধরেন। যাতে বলা হয়েছিল, দুই দেশেই ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সমান অধিকার দেওয়া হবে। এর ওপর ভিত্তি করেই বলা যায় দেশভাগ হয়েছিল ধর্মীয় লাইনে। যা ছিল ঐতিহাসিক ভুল। সেই জন্যই এই বিল তৈরি করা হয়েছে। বলেন অমিত শাহ।
ভারত নীতি অনুসরণ করেছে
অমিত শাহ বলেন, তিনি পাকিস্তানের আইন জানেন। সেখানে অনেক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু ভারত তার নীতি অনুসরণ করেছে। অমিত শাহ বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে দেশের প্রধান বিচারপতির পদ পেয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রধান হয়েছেন। কিন্তু এই প্রক্রিয়া কি প্রতিবেশী তিন দেশে অনুসরণ করা হয়েছে, প্রশ্ন করেছেন অমিত শাহ।
ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ভারতে এসেছে
অমিত শাহ দাবি করেন, প্রতিবেশী দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নিজেদেরকে বাঁচাতে এই দেশে এসেছেন। তাঁদেরকে কেন নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না, প্রশ্ন তোলেন তিনি। সেই জন্যই এই আইন জরুরি, মন্তব্য করেছেন অমিত শাহ।
সরকারের সমালোচনায় বিরোধীরা
বিল নিয়ে রাজ্যসভায় আলোচনার সময় বিরোধীরা সরকারকে আক্রমণ করেন। তারা বলেন, এই বিলের মাধ্যমে সংবিধানের ভিত্তিকেই আক্রমণ করা হচ্ছে। যদিও কেন্দ্রের তরফে সব অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিন রাজ্যসভা বসার পরেই বিলটি পেশ করেন অমিত শাহ। বিলের মাধ্যমে ভারতে মুসলিমদের বিরদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ উড়িয়ে দেন তিনি।