কাশ্মীরে জঙ্গিদের 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব'! কোন ফাঁদে হিজবুল নেতা রিয়াজকে ফেলে আক্রমণ করে সেনা
খানিকটা সাধারণ 'গ্যাং ওয়ার' এর মতো শোনালেও, আন্ডারওয়ার্ল্ডের চেনা ফর্মুলা কাশ্মীরের জঙ্গি শিবিরগুলির মধ্যেও দেখা যাচ্ছে। আর এই চেনা ফর্মুলাকে টোপ হিসাবে ব্যবহার করে নিরাপত্তাবাহিনী উপত্যকায় বড়সড় জঙ্গিকে ধরে নিয়ে সাফল্য পেয়েছে।
হিজবুল কমান্ডারের এনকাউন্টার
হিজবুল কমান্ডার রিয়াজ নাইকিকে গত ৮ বছর ধরে খুঁজছে পুলিশ। গোয়েন্দা বিভাগের তাবড় অফিসারের সামনে এসেও সে চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। আর এমন কুখ্যাত দাগী আসামীকে ধরা নিঃসন্দেহে বড় বিষয়। আর তা হতে পেরেছে কাশ্মীরে জঙ্গিদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কীভাবে কাজে লাগিয়েছে গেয়েন্দা বিভাগ?
পাকিস্তানের উস্কানিতে কাশ্মীরে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির উদ্ভাবন হয়েছে। তেব এই জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির মধ্যও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লেগে রয়েছে বলে খবর। আর হিজবুল কমান্ডার রিয়াজ নাইকু কোথায় ছিল তার হদিশও পুলিশকে হিজবুলের প্রতিপক্ষ জঙ্গি গোষ্ঠী দিয়েছে। যার সূত্র ধরেই এই বড়সড় অপরেশন।
নাইকুর লুকিয়ে থাকা..
স্বপ্নসুন্দর কাশ্মীরে তখন মধ্যরাত। ততক্ষণে মঙ্গলবার রাতে পুলিশের খাছে খবর আসে যে নাইকু কোথায় রয়েছে। এমনও খবর আসে যে, পুলিশি হামলা হলে, সে চেনা সুড়ঙ্গ পথে বেরিয়ে যাবে। এরপরই রাতের অন্ধকারে সুড়ঙ্গ ঘিরে তৎপরতা শুরু হয়।
রিয়াজকে ধরতে কোন যুদ্ধবিদ্যা?
সুড়ঙ্গ রোখার উদ্যোগে পুলওয়ামার বেইঘোবরা গ্রামে রিয়াজ যেখানে লুকিয়ে ছিল তার সংলগ্ন মাঠ ও রেলপথে কোনও সুড়ঙ্গ রয়েছে কী না, তার খোঁজ শুরু করে সেনা। নাইকু মাটির তলায় কোথাও গোপন ঘাঁটিতে লুকিয়ে রয়েছে কীনা তার তল্লাশি চলে। বাহিনীর অন্য আরেক দল ততক্ষণে রাতের অন্ধকারে ধীরে ধীরে ঘিরে ফেলতে শুরু করে গ্রাম।