মুসলিমের হাতে বীরভূমে উদ্বোধন মন্দিরের, দিওয়ালি–কালীপুজো পেল অন্য মাত্রা
গোটা দেশ যখন দিওয়ালি ও কালীপুজো পালন করছে, তখন এ রাজ্যের বীরভূম জেলার এক মসজিদ হিন্দু মন্দির উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি উদযাপনে ব্যস্ত ছিল।

বীরভূমের নানুর এলাকার বাসাপাড়ায় এই কালীমন্দিরটি রবিবার কালীপুজোর দিনই উদ্বোধন হয়। মন্দিরটি উদ্বোধন করেন স্থানীয় মসজিদের মৌলবী নাসিরুদ্দিন মণ্ডল।
এই প্রথমবার মুসলিম মৌলবী কোনও হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধন করলেন। প্রসঙ্গত, দু’বছর আগে রাস্তা প্রশস্ত করার প্রকল্পের সময় এই মন্দিরটি ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর বাসাপুরা এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ই টাকা তুলে জমি কেনে এবং মন্দিরটি সারাই করে। কালীপুজোর সময় সাম্প্রদীয়িক সম্প্রীতির এটাই শুধুমাত্র নজির নয়, আরও অনেক রয়েছে।
ত্রিপুরার ইন্দো–বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত সোনামুরার দুর্গাপুর গ্রামের মুসলিমরা মেতে উঠেছিলেন কালীপুজোয়। দুর্গাপুর গ্রামে ৯০ শতাংশ মুসলিমের বসবাস। এই কালীপুজোর জন্য মুসলিমরা সক্রিয়ভাবে যোগ দেন বিভিন্ন কাজে। চাঁদা তোলা থেকে শুরু করে মূর্তি বানানো ও প্যান্ডেল তৈরি করা সব কাজই করেন মুসলিমরা।
জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরে ১৫ বছর আগে এক হিন্দু পুরোহিত থাকতেন এবং তাঁর নিজস্ব কালী মন্দির ছিল। যদিও তিনি তাঁর পুরো সম্পত্তি স্থানীয় এক মুসলিম ব্যক্তিকে দিয়ে যান এবং তিনি চলে যান। সেদিন থেকে প্রত্যেক বছর মুসলিমরা কালীপুজো করেন।
ভারতেই নয়, করাচির স্বামীনারায়ণ মন্দিরেও হিন্দুদের সঙ্গে দিওয়ালি উদযাপন করেন পাক মুসলিমরা।