ক্রিসমাস পালন নিয়ে যোগীর রাজ্যে এমনই হুমকি
ক্রিসমাস পালন নিয়ে আলিগড়ের ক্রিশ্চিয়ান স্কুলগুলিকে হুমকির জেরে বিতর্কে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। তাদের মতে ক্রিসমাস পালনের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের খ্রিস্টান ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট করা হয়।
ক্রিসমাস পালন নিয়ে আলিগড়ের ক্রিশ্চিয়ান স্কুলগুলিকে হুমকির জেরে বিতর্কে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। তাদের মতে ক্রিসমাস পালনের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের খ্রিস্টান ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট করা হয়। হিন্দু জাগরণ মঞ্চ যোগী আদিত্যনাথের হিন্দু যুব বাহিনীর একটি শাখা সংগঠন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, হিন্দু যুব বাহিনীর সন্দেহ, ক্রিসমাস পালনের মাধ্যমে, স্কুলগুলিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু ছাত্রছাত্রীদের ধর্মান্তরণের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ছাত্রছাত্রীদের খেলনা এবং উপহার আনতে বলা হয়েছে। খ্রিস্টান ধর্মের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে এটা একটা সহজ উপায় বলে মন্তব্য করেছেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের প্রেসিডেন্ট সোনু সবিতা। এই ধরনের ঘটনা হিন্দু ছাত্রছাত্রীদের মানসিকতার ওপর প্রভাব ফেলে বলে মনে করছেন তাঁরা।
মধ্যপ্রদেশের সাতনায় থানার কাছেই ক্যারোল গাওয়া খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ এবং পাদ্রীদের ওপর হামলার পরেই আলিগড়ে এই হুমকি ঘটনা ঘটল।
বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ২০০২ সালে হিন্দু যুব বাহিনীর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেই হিন্দু যুব বাহিনীই হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ এনেছে একটি চার্চের বিরুদ্ধে।
পূর্ব উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলায় চার্চের একটি অনুষ্ঠানের আমেরিকার ১০ জন পর্যটক-সহ হাজির ছিলেন প্রায় ১৫০ জন। অনুষ্ঠানে ধর্মান্তরণ প্রক্রিয়া চলছে এই অভিযোগ করে হিন্দু যুব বাহিনী। এরপরেই পুলিশ সেই অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। মাঝে মধ্যেই চার্চে সাধারণের সমাবেশ ঘটে। কিন্তু এবার সেখানে বিদেশিরা উপস্থিত হওয়ায় হিন্দু যুব বাহিনী ধর্মান্তরণের অভিযোগ তোলে।
২০১৪ সালে যোগী আদিত্যনাথ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষদের হুমকি দিয়েছিলেন, চার্চের বাইরে যেন তাঁরা ক্রিসমাস পালন না করেন। যদিও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষরা ঘর ওয়াপসিকে ভুল বলে মনে করেন, তাহলে খ্রিস্টান মিশনারিদের এই ধরনের অনুষ্ঠানও ভুল। সেই সময় এমনই মন্তব্য করেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ।