একই ব্ল্যাকবোর্ডে একসঙ্গে চলছে একাধিক ভাষার ক্লাস, চরম দুর্গতির শিকার পড়ুয়ারা
একই ব্ল্যাকবোর্ডে একসঙ্গে চলছে একাধিক ভাষার ক্লাস, চরম দুর্গতির শিকার পড়ুয়ারা
চরম
সমস্যার
শিকার
পড়ুয়ারা।
একটি
ব্ল্যাকবোর্ডে
পড়ানো
হচ্ছে
দুটি
ভাষা।
সম্প্রতি
এই
রকম
একটি
ঘটনা
সামনে
এসেছে,
আর
সেই
চিত্র
সামনে
আসতেই
ছড়িয়েছে
চঞ্চল্য।
ঘটনাটি
ঘটেছে
বিহারের
কাটিহার
জেলার
একটি
স্কুলে।
বিশেষজ্ঞরা
এই
ঘটনার
পরিপ্রেক্ষিতে
বলছেন,
শিক্ষা
ব্যবস্থার
চরম
অবস্থাই
বলা
যায়
একে।
সম্প্রতি
ওই
স্কুলের
একটি
ভিডিও
সামনে
এসেছে,
ভিডিওতে
দেখা
যাচ্ছে
একগুচ্ছ
পড়ুয়ার
সামনে
উপস্থিত
দুজন
শিক্ষক।
সামনে
একটি
মাত্র
ব্ল্যাকবোর্ড।
সেই
ব্ল্যাকবোর্ডের
একটি
পাশে
পড়ানো
হচ্ছে
হিন্দি
ভাষা,
অন্যদিকে
পড়ানো
হচ্ছে
উর্দু।
আরো
একটি
বিষয়
নজর
কেড়েছে।
দুজন
শিক্ষক
ব্লাকবোর্ডে
পড়াশোনা
করালেও
ক্লাসে
উপস্থিত
রয়েছেন
আরও
এক
শিক্ষক।
জানা গিয়েছে শৃঙ্খলা বজায় রাখতেই তাঁকে উপস্থিত থাকতে হয় ক্লাসে। অন্যদিকে জানা গিয়েছে ওই স্কুলে একটি মাত্র ক্লাস রুম রয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে একটি ক্লাসেই পড়াশোনা করানো হয় পড়ুয়াদের। এই বিষয়ের উপর শিক্ষাব্যবস্থার চরম অবহেলার দিকটি উঠে আসে।
কাটিহার জেলার মনিহারি ব্লকে অবস্থিত উর্দু প্রাথমিক বিদ্যালয় আদর্শ মিডল স্কুল। স্কুলটি একসময় স্থানান্তর করা হয়। তারপর থেকেই ঘরের সমস্যা দেখা। আদর্শ মিডল স্কুলের এক শিক্ষিকা কুমারী প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন, স্কুলে যথেষ্ট পরিমাণে ক্লাসরুম নেই। তাই একটিমাত্র ঘর রয়েছে সম্বল। সেখানেই সব পড়ুয়াদের পড়াশোনা করানো হয়। আরও জানা যাচ্ছে যে ওই একটা ঘরেই প্রথমে পড়ানো হয় হিন্দি বিষয়। আর তারপর সেই ক্লাস শেষ হয়ে গেলে সেখানেই পড়ানো হয় উর্দু সহ অন্যান্য বিষয়।
রেসিডেন্স কাম অফিসে তল্লাশি! মমতার সরকারের পুলিশের নাম বদলে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী
অবশ্য স্কুলের এই জরাজীর্ণ অব্যবস্থা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয় জেলা শিক্ষা আধিকারিককে। আর সেই বিষয়ে বিহারের কাটিহার জেলা শিক্ষা আধিকারিক কামেশ্বর গুপ্ত বলেন, আদর্শ মিডল স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির সংখ্যা কম বলেই এই ঘটনা ঘটেছে। অবশ্য পাশাপাশি তিনি আরও জানান যে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অপর একটি কক্ষ করে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও দেশের একাধিক জায়গায় বেশকিছু ঘটনা এর আগেও সামনে এসেছে। আর সেখানে দেখা গিয়েছে যে হয় স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকার অভাবে, আর নাহয় উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে চরম দুর্দশার সম্মুখীন হতে হয়েছে পড়ুয়াদের। কিংবা উপযুক্ত শিক্ষক বা ক্লাসের অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে পড়াশোনা। আর এই ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই আরও একবার সামনে এল দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার জরাজীর্ণ অবস্থার ছবি।