২০২৯-এর মধ্যেই কংগ্রেস-মুক্ত ভারতে সম্পূর্ণ বিজেপি-রাজ! বাংলায় ক্ষমতায় কবে
২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেই বিজেপি কংগ্রেস-মুক্ত ভারত গড়ার কথা বলেছিল। সেই লক্ষ্যে অনেক রাজ্যে কংগ্রেসকে ভেঙে তারা শাসন কায়েম করেছে। বহু রাজযে ভোটে হেরেও সরকার গঠন করেছে।
২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেই বিজেপি কংগ্রেস-মুক্ত ভারত গড়ার কথা বলেছিল। সেই লক্ষ্যে অনেক রাজ্যে কংগ্রেসকে ভেঙে তারা শাসন কায়েম করেছে। বহু রাজযে ভোটে হেরেও সরকার গঠন করেছে। কিন্তু কংগ্রেসমুক্ত ভারত গড়তে তারা এখনও পারেনি। আট বছর পর ২০২২-এ এসে প্রাক্তন কংগ্রেসী বর্তমানে বিজেপিশাসিত রাজ্যের এক মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, কবে সম্পূর্ণ ভারতে রাজ করবে বিজেপি। বাংলাতেই বা কবে বিজেপি শাসন কায়েম করতে সফল হবে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলায় পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু পরিবর্তনের অনুকূল অবস্থা তৈরি করেও সাংগঠনিক ব্যর্থতায় বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়েছিল। তারপরের সমস্ত নির্বাচের বিজেপি শুধু গোহারাই হয়েছে। পিঠ ঠেকে গিয়েছে দেওয়ালে। এখন আবার পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে ঘুরে দাঁড়ানোর শপথ নিয়েছে। এই অবস্থায় এক সামিটে অংশ নিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বিজেপির ভবিষ্যৎ বাণী করে দিলেন।
হিমন্ত বিশ্বশর্মা এদিন বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে বিজেপি আরও ২-৩টি রাজ্যে সম্প্রসারিত হবে। তারপরই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল বাংলার বিজেপির অবস্থান নিয়ে কী ভাবছেন। তাঁর প্রত্যুত্তরে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, আমরা বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আছি। প্রায় ১০০-র কাছাকাছি আসন রয়েছে আমাদের। ২০২৪ সালে আমরা আরও কিছু আসন পাবো বলেই মনে করি। কেননা বাংলা, ওড়িশা ও তেলেঙ্গানায় আমরা সম্প্রসারিত হচ্ছি। ২০২৪-এ আমরা ক্লাইম্যাক্সে পৌঁছব বলে আশা করছি। আরও ২-৩টি রাজ্যে আমাদের সম্প্রসারণ ঘটবে।
একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন ২০২৯ সালে গোটা দেশজুড়ে থাকবে বিজেপি। অর্থাৎ দেশে আর অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের শাসন থাকবে না বলেই তিনি মনে করেন। ২০১৪ সালে যে স্লোগান তুলেছিলেন মোদী-শাহরা, তা ২০২৯ সালে সত্যি হবে বলে মনে করেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এমনকী তাঁর কথায়, শুধু কংগ্রেস নয়, আঞ্চলিক দলগুলোও আউট হয়ে যাবে ক্ষমতা থাকে।
বর্তমানে দুটি রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতায় রয়েছে এককভাবে। এছাড়া জোটসঙ্গীদের নিয়ে ক্ষমতায় রয়েছে আর দুটি রাজ্যে। ছত্তিশগড় ও রাজস্থানে কংগ্রেসি শাসনের অবসান ঘটবে ২০২৯ সালের মধ্যে, তা তিনি জানিয়ে দিয়েছেন প্রকারান্তরে। আর বিহার ও তামিলনাড়ুতে যথাক্রমে মহাজোট সরকার ও ডিএমকে নেতৃত্বাধীন সরকার।
হিমন্তের কথায়, তামিলনাড়ু ও কেরল জয়ের মধ্যে দিয়েই বিজেপির মিশন সফল হবে। অর্থাৎ তামিলনাড়ুতে ডিএমকে হারিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে ২০২৯ সালের মধ্যে আর কেরলেও তাই। সিপিএমকে হারিয়ে ২০২৯ সালের মধ্যে শাসন কায়েম করবে বিজেপি। এটা লক্ষ্যমাত্রা নয়, এটাই বিজেপির ভবিষ্যৎ বলে জানিয়ে দিয়েছেন হিমন্ত।
এদিন মোদী-মমতার সুসম্পর্ক নিয়েও মুখ কোলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে ভালো কথা বলছেন, এটা খুব ভালো লক্ষণ। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে ভালো। মোদী সম্পর্কে প্রশস্তিসূচক কথা বলার কারণ কী? হিমন্ত বলেন, মোদীজি আমাদের সকলের প্রধানমন্ত্রী। আমাদের গণতন্ত্রে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর ভালো সম্পর্ক থাকা দরকার। সমণ্বয় থাকা দরকরা মানুষের জন্য।