ব্রিটিশ শাসনের চিহ্ন মুছতে নাম পরিবর্তন! এবার তালিকায় আন্তর্জাতিক পর্যটন শহর
রাজধানীর নাম বদলের তাগিদ এবার বিজেপি শাসিত হিমাচল প্রদেশে। রাজ্য সরকারের তরফে সিমলাকে শ্যামলা নামকরণ করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে।
রাজধানীর নাম বদলের তাগিদ এবার বিজেপি শাসিত হিমাচল প্রদেশে। রাজ্য সরকারের তরফে সিমলাকে শ্যামলা নামকরণ করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে। দক্ষিণপন্থী হিন্দু সংগঠনগুলির তরফে ব্রিটিশ শাসনের চিহ্ন মুছতে এই নামকরণের দাবি করা হয়েছে।
জাকু মন্দিরে দশেরার এক অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর বলেছেন, ব্রিটিশ শাসনের আগে সিমলা শ্যামলা নামেই পরিচিত ছিল। এই নাম পরিবর্তন করতে জনগণের মতামত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উত্তরপ্রদেশ সরকার এলাহবাদের নাম প্রয়াগরাজ করার পর থেকে সিমলার নাম পরিবর্তনের দাবি গতি পেয়েছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিপিন পারমার বলেছেন, সিমলার নাম পরিবর্তনে খারাপ কিছু নেই। ১৮৬৪ সাল থেকে স্বাধীনতা পর্যন্ত ভারতের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী ছিল সিমলা। সেই ব্রিটিশ শাসনের ছাপ এখনও শহরে রয়ে গিয়েছে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দীর্ঘদিন ধরেই সিমলার নাম পরিবর্তনের জন্য দাবি করে আসছে। যদিও ২০১৬ সালে তৎকালীন কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী নাম পরিবর্তনের দাবি খারিজ করে দিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র হওয়ার কারণে তিনি এই নাম পরিবর্তনের বিরোধিতা করেছিলেন।
ভিআইপি-র তরফে রাজ্য পর্যটন দফতর পরিচালিত হোটেল পিটারহফের নাম পরিবর্তন করে বাল্মিকি রাখার দাবিও করেছে। ব্রিটিশ শাসনে পিটারহফ গভর্নর জেনারেল এবং ভাইসরয়দের আবাস ছিল। স্বাধীনতার পরে যা পঞ্জাব হাইকোর্টে পরিবর্তিত হয়। পরবর্তীকালে যা রাজভবনেও পরিবর্তিত হয়েছিল।
শুধু এখানেই শেষ নয়, ডালহৌসির নাম পরিবর্তন করে সুভাষচন্দ্র বসুর নামে এবং নূরপুরের নাম রাম সিং পাঠানিয়ার নামে করার দাবিও উঠেছে। নূরপুর শহরের নাম হয়েছিল মোঘল সম্রাজ্ঞী নূরজাহানের নাম অনুসারে।
কংগ্রেসের তরফে সিমলার নাম পরিবর্তনের বিরোধিতা করা হয়েছে। নাম পরিবর্তন না করে সরকারের উচিত রাজ্য তথা শহরের সমস্যাগুলিকে দূর করা। এমনটাই মত প্রকাশ করেছে রাহুলের দল।