হিমাচল প্রদেশ নির্বাচন ২০২২: 'ফির ভাজপা সরকারে'র মোকাবিলায় কংগ্রেসের হাতিয়ার দুর্নীতি
হিমাচল প্রদেশ নির্বাচন ২০২২: 'ফির ভাজপা সরকারে'র মোকাবিলায় কংগ্রেসের হাতিয়ার দুর্নীতি
নির্বাচনের ২ সপ্তাহ বাকি নেই। তবে পাহাড়ি ছোট রাজ্যে কংগ্রেস আর বিজেপি দু-প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী নেমে পড়েছে প্রচারে। এই মুহূর্তে প্রশ্ন উঠেছে, বিজেপি কি পারবে ১৯৮৫ সাল থেকে চলে আসা প্রথা ভাঙতে, নাকি কংগ্রেস এবার সেখানে ক্ষমতা দখল করবে। তবে সেখানকার ৬৮ টি আসনের মধ্যে ৩০ আসন দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর ভাগ্য নির্ধারণ করে দেবে বলেই মনে করছেন, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
নজরে যে ৩০ টি আসন
যে ৩০ টি আসন ভাগ্য নির্ধারণ করে দেবে তার মধ্যে রয়েছে কাংড়া জেলার ১৫ টি, মান্ডির ১০ টি এবং চাম্বার ৫ টি আসন। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কাংড়া, মান্ডি, চাম্বার আসনগুলির পাশাপাশি সিমলার আটটি আসনের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। তাঁরা আরও বলছেন বাকি সব জেলায় ৪-৫ টি করে আসন রয়েছে। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ৩৮-এর বেশি। যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে বেশি। এক্ষেত্রে সিমলা যেমন কংগ্রেসের শক্তিশালী গড় ঠিক তেমনই মান্ডি বিজেপির গড় বলে পরিচিত।
বিজেপির অভ্যন্তরে অস্বস্তি
টিকিট বন্টন নিয়ে বিজেপির অভ্যন্তরে অস্বস্তি রয়েছে। যার জেরে দলের সভাপতি জেপি নাড্ডা নিজে বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বেশ কয়েকদিন ধরে নাড্ডা সিমলার বিখ্যাত পিটার হফ ভবনে অবস্থান করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে কুলুর বিজেপি নেতা মহেশ্বর সিং সিমলায় এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন। তিনি নির্দল হিসেবে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেও মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। মহেশ্বর সিং বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ। তিনি যেমন অটলবিহারী বাজপেয়ীর পরিচিত ছিলেন, তেমনই তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠও। নরোত্তম ঠাকুরকে বিজেপি মনোনয়ন দেওয়ার পরে তিনি নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। শুধু বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে বৈঠকই নয়, সিমলায় থাকার সময়ে দলের কর্মীদের সঙ্গেই তিনি বৈঠক করেছেন।
তুলনায় সুবিধাজনক অবস্থানে কংগ্রেস
তবে সেখানকার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তুলনায় কংগ্রেস সুবিধাজনক স্থানে রয়েছে। কেননা টিকিট বন্টন নিয়ে কংগ্রেসে তেমন কোন বিরোধিতা দেখা যায়নি। যেটুকু ছিল, তাও ম্যানেজ করে নিয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব। কংগ্রেস কর্মীরা প্রিয়ঙ্কার সফর পরিকল্পনায় উৎসাহিত হয়েছেন। রাজ্যের আটটি জায়গায় তিনি সফর করার কথা জানানেও বর্তমানে তা ৪ টি জায়গায় নেমে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস মিলেছে।
ফির ভাজপা সরকারের মোকাবিলায় কংগ্রেসের হাতিয়ার দুর্নীতি
১৯৮৫ সাল থেকে চলে আসা প্রথা ভাঙতে বিজেপির প্রচারের ট্যাগ লাইন হল হিমাচল কা পুকার, ফির ভাজপা সরকার। এর মোকাবিলায় কংগ্রেসের ভরসা দুর্নীতির চার্জশিট। কংগ্রেসের অভিযোগ বিজেপি চাকরির আউটসোর্স করেছে। প্রায় ৩ হাজার কর্মী নিয়োগের জন্য তারা ১৫৩, ১৯, ৮০, ০৩০ টাকা খরচ করেছে। এর মধ্যে ২৩, ০৯, ৫৮, ২২৪ টাকা খরচ করা হয়েছে, যে কোম্পানি এই নিয়োগ করেছিল তাদের জন্য।
'চুপ করে থাকুন', এক রাশ বিরক্তি নিয়ে আদালতে ঢোকার মুখে সাংবাদিকদের ধমক পার্থর