চারিত্রিক শংসাপত্র না জমা দিলে মোদীর সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশ নয়! চাপে পড়ে প্রত্যাহার নির্দেশনামা
ধবার একদিনের সফরে হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যে কারণে সেখানে কড়া নিরাপত্তার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আর তা করতে গিয়ে বিতর্কিত নির্দেশনামা দিয়ে বসল হিমাচল প্রদেশ পুলিশ। যা অবশ্য পরে তু
ধবার একদিনের সফরে হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যে কারণে সেখানে কড়া নিরাপত্তার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আর তা করতে গিয়ে বিতর্কিত নির্দেশনামা দিয়ে বসল হিমাচল প্রদেশ পুলিশ। যা অবশ্য পরে তুলে নেওয়া হয়। বিতর্কিত সেই নির্দেশনামায় বলা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর সভায় যেতে গেলে সাংবাদিকদের চারিত্রিক শংসাপত্র দিতে হবে। যদিও সেই নির্দেশনামা বের হওয়ার পরেই ক্ষোভ দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত সে নির্দেশনামা প্রত্যাহার করে হিমাচল প্রদেশ প্রশাসন।
২৯ সেপ্টেম্বর জারি করা হয়েছিল নির্দেশিকা
২৯ সেপ্টেম্বর হিমাচল প্রদেশ পুলিশের তরফে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়, ৫ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর সভায় থাকতে গেলে সাংবাদিক, ফটোগ্রাফার, ভিডিওগ্রাফারদের চরিত্র যাচাইয়ের শংসাপত্র-সহ নাম জমা দিতে হবে। সেই নির্দেশিকা থেকে ঠছাড় পাননি দূরদর্শন এবং অল ইন্ডিয়া রেডিওর সাংবাদিকরা। নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল ১ অক্টোবরের মধ্যে সার্টিফিকেট জমা দিতে। সঙ্গে বলা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীর সভার প্রবেশাধিকার তারাই নির্ধারণ করবে।
দুঃখপ্রকাশ করে নতুন নির্দেশিকা
এদিন
সকালে
বিলাসপুরের
পুলিশ
সুপার
দুঃখপ্রকাশ
করে
নতুন
নির্দেশিকা
প্রকাশ
করেছেন।
সেখানে
বলা
হয়েছে
আগেকার
নির্দেশিকাটি
অসাবধানবশত
জারি
করা
হয়েছিল।
তবে
তা
প্রত্যাগার
করে
নেওয়া
হচ্ছে।
নতুন
নির্দেশিকার
বলা
হয়েছে,
সব
মিডিয়াকেই
স্বাগত
জানানো
হচ্ছে।
নতুন
নির্দেশিকায়
আরও
বলা
হয়েছে,
সরকারের
গণমাধ্যম
বিভাগ
সবাইকে
পাস
দেবে।
হিমাচল
প্রদেশের
পুলিশ
প্রধান
সঞ্জয়
কুণ্ডু
এব্যাপারে
দুঃখ
প্রকাশ
করে
টুইট
করেছেন।
সেখানে
তিনি
বলেছেন,
বুধবার
প্রধানমন্ত্রীর
হিমাচল
প্রদেশ
সফর
কভার
করার
জন্য
সব
সাংবাদিককে
স্বাগত
জানানো
হচ্ছে।
হিমাচল
প্রদেশ
পুলিশ
সবাইকে
কভারেজ
করার
সুবিধা
দেবে।
এব্যাপারে
কোনও
অসুবিধা
হয়ে
থাকলে
তিনি
দুঃখিত
বলেও
টুইটে
জানান
রাজ্যের
পুলিশ
প্রধান।
|
আগেকার নির্দেশিকা ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়
তবে প্রধানমন্ত্রীর সভায় যোগ দিতে গেলে সাংবাদিকদের ওপরে জারি করা শর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সাংবাদিকরাই কটাক্ষ করে টুইট করেছেন বিষয়টি নিয়ে। সেখানে বলা হয়েছে, কেউ যদি প্রধানমন্ত্রীর বিলাসপুরের সভা সভার করতে চান, তাহলে একটি চারিত্রিক শংসাপত্র তৈরি করুন। এটা বাধ্যতামূলক। কেননা প্রশাসন সাংবাদিকদের অফিসিয়াল আইডিকেও সন্দেহ করছে।
বছরের শেষে হিমাচলে বিধানসভা নির্বাচন
এবছরের শেষে হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। যে কারণে সেই রাজ্যে রাজনৈতিক নেতাদের আনাগোনা বেড়েছে। গত মাসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর হিমাচল প্রদেশের মান্ডিতে সভা করার কথা থাকলেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে তা বাতিল করতে হয়। এদিন প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
উধমপুরে পরপর বিস্ফোরণে ধৃতদের জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য! জম্মু-কাশ্মীরকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রমাণ