Himachal Elections Result 2022: হিমাচলে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা! 'রাজ' ছেড়ে 'রেওয়াজ' অনুসরণের পালা একনজরে
Himachal Elections Result 2022: হিমাচলে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা! 'রাজ' ছেড়ে 'রেওয়াজ' অনুসরণের পালা একনজরে
রেওয়াজ ধরে রাখল হিমাচল প্রদেশ। এব্যাপারে এক্সিট পোলের ভবিষ্যদ্বাণীকে নস্যাৎ করে দিল পাহাড়ি রাজ্যের জনগণ। সেখানে বছরের পর বছর ধরে ক্ষমতায় ধারা দলকে ভোট না দেওয়ার যে ইতিহাস রয়েছে, তা এবারও বজায় থাকল। ১৯৮৫ সাল থেকে বিজেপি ও কংগ্রেস পালা করে এই রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে, এবারও তা বজায় থাকল।
প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার সংজ্ঞা
প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা হল, ক্ষমতায় থাকা দলের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ভোট দান। ক্ষমতায় থাকা রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার প্রমাণ সাধারণভাবে পাওয়া যায় ভোটের মাধ্যমে। ভোটাররা সাধারণভাবে ক্ষমতায় না থাকা একটি দলকে ভোট দিয়ে থাকেন। এখানে সরকারের নীতিগুলির ওপরে ভোটারদের মতামত প্রকাশিত হয়।
হিমাচল প্রদেশে ক্ষমতাসীন দলকে ভোট
- হিমাচল প্রদেশে ১৯৮৫ সালে কংগ্রেস ৬৮ টি আসনের মধ্যে পেয়েছিল ৫৮ টি আসন। সেবার বিজেপি পেয়েছিল ৭ টি আসন। মুখ্যমন্ত্রী হল বীরভদ্র সিং।
- ১৯৯০ সালে বিজেপির ৪৬ টি আসন পায়। কংগ্রেস পেয়েছিল ৯ টি আসন। শান্তা কুমার বিজেপির তরফে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন।
- ১৯৯৩ সালে কংগ্রেস ৫২ টি আসনে জয় পায়। বিজেপি পায় ৮ টি আসন। দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন বীরভূদ্র সিং।
- ২০০৩-এ কংগ্রেস ৬৮ টি আসনের মধ্যে ৪৩ টিতে জয়লাভ করে। বিজেপি পায় ১৬ টি আসন। বীরভদ্র সিং পুনরায় সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী হন।
- ২০০৭-এ বিজেপি ৪১ টি আসন পেয়ে ফের ক্ষমতায় বসে। কংগ্রেস পায় ২৩ টি আসন। প্রেমকুমার ধুমলকে মুখ্যমন্ত্রী করে বিজেপি।
- ২০১২-তে কংগ্রেস ৩৬ টি আসনে জয়ী হয়। বিজেপি পায় ২৬ টি আসন। বীরভদ্র সিং ফের হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন।
- ২০১৭ সালে বিজেপি ৬৮ টি আসনের মধ্যে ৪৪ টি আসনে জয়ী হয়। কংগ্রেস পায় ২১ টি আসন। বিজেপি দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও হেরে যান মুখ্যমন্ত্রী প্রেমকুমার ধুমল।
১৯৯৮-এর পরিস্থিতি ছিল কিছুটা আলাদা
এর মধ্যে ১৯৯৮ সালের পরিস্থিতি ছিল কিছুটা আলাদা। কংগ্রেস ও বিজেপি প্রত্যেকেই ৩১ টি করে আসন পায়। তবে বিজেপি হিমাচল বিকাশ কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করে। প্রেমকুমার ধুমলকে ফের মুখ্যমন্ত্রী করে বিজেপি।
পাহাড়ি রাজ্যে রেওয়াজকে অনুসরণ
১৯৮৫ সাল থেকে চলে আসা ঐহিত্যই হোক কিংবা রেওয়াজ এবারও বজায় থাকল। তবে ফল গেল কংগ্রেসের তরফে। সরকার বিরোধিতার নিরিখে কংগ্রেস যেন এই ফল নিয়ে কিছুটা নিশ্চিত ছিল। কেননা তারা বলেছিল মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, পুরনো পেনশন প্রকল্প, রাজ্যবাসীর জীবন ও জীবিকার বিুষয়গুলি নিয়ে রাজ্যবাসী সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন। পাল্টা অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর বলেছিলেন, হিমাচল প্রদেশের জনগণ এবার একই সরকারকে ভোট দেবে।
হিন্দুত্বের তাস খেলে মোদী-রাজ্যে পা দিলেও আপ ভোট কাটল কংগ্রেসের, বাজিমাত বিজেপির