হিজাব নিয়ে কর্নাটকের উল্টো ছবি কাশ্মীরে! কট্টরপন্থীদের ট্রোলিং-এ জবাব কাশ্মীরের টপারের
হিজাব নিয়ে কর্নাটকের উল্টো ছবি কাশ্মীরে! কট্টরপন্থীদের ট্রোলিং-এ জবাব কাশ্মীরের টপারের
একদিকে যখন কর্নাটকের রাজনীতি উত্তাল হিজাব (Hijab) নিয়ে রাজনীতিতে, সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং-এ জবাব দিল কাশ্মীরের (Kashmir) কন্যা। দিন কয়েক আগে দ্বাদশ শ্রেণির যে ফলাফল প্রকাশ হয়েছে, সেখানে আরুসা বিজ্ঞান নিয়ে প্রথমস্থান অধিকার করেছেন। হিজাব না পরার কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং-এর শিকার হয় সে।
ইসলামিক রীতি অনুসরণ করেন তিনি
বছর আঠারোর কাশ্মীর কন্যার নাম আরুসা পারভেজ। দিন কয়েক আগেই তাঁর পরীক্ষার ফলাফল বের হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের মধ্যে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে এবার সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে সে। হিজাব না পরার জন্য ট্রোলিং-এর শিকার হতে হয়েছে গত কয়েক দিনে। তার জবাব দিতে গিয়ে আরুসা বলেছে, আল্লার প্রতি তাঁর বিশ্বাস রয়েছে। এছাড়াও সে ইসলামিক রীতি অনুসরণ করে থাকে। ফলে ভাল মুসলিম হতে গেলে হিজাব পরার দরকার নেই।
পরিবার শঙ্কিত
শনিবার
সকাল
থেকে
আরুসাকে
নিয়ে
ট্রোলিং
শুরু
হয়।
একদিকে
যেমন
কিছু
সোশ্যাল
মিডিয়া
ব্যবহারকারী,
তাঁকে
ধন্যবাদ
দিয়েছে,
অন্যদিকে
একটা
অংশ
হিজাব
না
পরার
জন্য
তাঁর
সমালোচনা
করেছে।
কয়েকজন
আবার
তাঁকে
কর্নাটকের
স্কুলের
ছাত্রীদের
সঙ্গে
তুলনা
করেছে,
যাঁরা
আল্লা-হু-আকবর
বলে
চিৎকার
করেছিল।
আরুশা
পারভেজ
বলেছেন
অনলাইন
ট্রোলিং-এ
সে
খুবই
বিরক্ত।
সে
এসবে
পাত্তা
না
দিলেও
পরিবারের
সদস্যরা
বিষয়টি
নিয়ে
চিন্তিত।
বিশেষ
করে
সোশ্যাল
মিডিয়ায়
বিভিন্ন
রকমের
মন্তব্যের
জন্য।
শুক্রবার সম্বর্ধনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন
শুক্রবার আরুসাকে সম্বর্ধনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এবার আরুসা জম্মু ও কাশ্মীরে বিজ্ঞান নিয়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে প্রথমস্থান অধিকার করেছেন। জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরের এলাহিবাগের বাসিন্দা আরুসা ৫০০-র মধ্যে ৪৯৯ পেয়েছেন। শতাংশের নিরিথে যা ৯৯.৮০%। শ্রীনগরের ডেপুটি কমিশনার মহম্মদ আইজাজ আসাদ তাঁর চেম্বারে আরুসাকে সম্বর্ধনা দেন। সার্টিফিকেট, ট্রফি ছাড়াও তাঁর হাতে ১০ হাজার টাকা চেকও তুলে দেওয়া হয় তাঁর হাতে।
ঘরের মেয়ের ফলাফলে খুশি পরিবারের সদস্যরা
৮ ফেব্রুয়ারি দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফল বেরনোর পর থেকে খুশি আরুসার পরিবারের সদস্যরা। সে আরও বড় হবে, এমনটাই আশা। অন্যদিকে আরুসাও জানিয়েছে, যদি কেউ মনে করে, তাঁকে জয়ী হতেই হবে, তাহলে অন্য কোনও বাধা সামনে আসলেও তাকে জয় করা যায়। পড়াশোনায় এই সাফল্যে কাশ্মীর উপত্যকার নজরে পড়ে যায় আরুসা। বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিনন্দন বার্তাও পেয়েছে সে। সঙ্গে অশালীন মন্তব্যও করা হয়েছে তাঁকে ঘিরে। তাঁকে শিরচ্ছেদের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে এই ঘটনার জেরে কাশ্মীরের শিক্ষক সমাজ বলছেন, আরুসাকে ঘিরে যা করা হচ্ছে, তা নিন্দারও অযোগ্য। একজন মুসলিম মহিলা হিজাব পরবেন কি না পড়বেন, তা তাঁরই ওপরে ছেড়ে দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন উপত্যকার মুসলিম সমাজের অনেকে।