ইসলামের অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন নয়! হিজাব রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা
ইসলাম ধর্মের অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন নয়! নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা
হিজাব বিতর্কে নয়া মোড়! হাইকোর্টের নির্দেশকে (Karnataka High Court) চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ আবেদনকারী। হিজাব বিতর্কে আজ মঙ্গলবার কার্যত ঐতিহাসিক রায় দেয় কর্নাটক হাইকোর্ট। আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, হিজাব পরা ইসলাম ধর্মের একটি অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন নয়।
আর হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ এক আবেদনকারী। ফলে নতুন করে হিজাব বিতর্ক (Hijab Controversy) মাথা চাড়া দিতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বলে রাখা প্রয়োজন গত বছরের ডিসেম্বরে উডুপি জেলার এক সরকার পরিচালিত স্কুলে নবম শ্রেণীর পড়ুয়াদের হিজাব পরে ক্লাসরুমে ঢুকতে দেওয়া হয় না। শুধু তাই নয়, একেবারে হিজাব খোলার পরই তাদের স্কুলে ঢোকার অনুমতি মেলে। আর তা নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। এমনকি এই বিতর্কে একাধিক ঘটনা ঘটে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সে রাজ্যে দফায় দফায় বন্ধ হয় স্কুল-কলেজ। এমনকি প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সে রাজ্যের সরকারকেও।
শেষমেশ জল গড়ায় কর্নাটক হাইকোর্টে। দীর্ঘ শুনানি হয়। যেখানে একাধিক বিষয় উঠে আসে। দীর্ঘ সওয়াল জবাব শেষে কর্নাটক হাইকোর্টের স্পেশাল বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, হিজাব পরা ইসলাম ধর্মের একটি অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন নয়। আর এরপরেই সে রাজ্যের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। কর্নাটক হাইকোর্টের এহেন নির্দেশিকা মানা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন পড়ুয়াদের একাংশ। এমনকি পরীক্ষা বয়কট করেন পড়ুয়ারা।
তৃণমূলে যোগ দিলেন সিপিআই কাউন্সিলর, ভোট মিটতেই দলবদল শুরু খড়গপুরে
শুধু তাই নয়, মঙ্গলবার কোর্টের এই রায় সামনে আসার পরপরই সোশ্যাল মিডিয়াতে এই নিয়ে সমর্থন ও সমালোচনা দুই শুরু হয়েছে৷ আদালতের রায় সামনে আসার পরেই কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী। তাঁদের বার্তা, 'আদালতের রায়কে স্বাগত জানাই। আমি সবার কাছে আবেদন করছি যে রাষ্ট্র ও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবাইকে হাইকোর্টের আদেশ মেনে শান্তি বজায় রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদের মৌলিক কাজ হলো পড়াশুনা করা। তাই এই সব (হিজাব বিতর্ক) বাদ দিয়ে তাদের পড়াশোনা করা উচিত।
আর এই বিতর্কের মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে উডিপির ছয় মুসলিম পড়ুয়া। যেখানে হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। মুসলিম পড়ুয়া নিবা নাজ তিনি এই আবেদন জানিয়েছেন। তাঁর আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের কাছে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে।