ইস্তেহারে ন্যুনতম আয় থেকে কিষাণ বাজেট! আর কী কী প্রতিশ্রুতি দিলেন রাহুল, দেখে নিন একনজরে
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আসন্ন লোকসভা নির্বাচন ২০১৯-এর জন্য কংগ্রেসের ম্যানিফেস্টোতে কী কী সেরা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হল।
মঙ্গলবার আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য ভারতের জাতীয় কংগ্রেস দলের ইস্তেহার প্রকাশ করলেন দলের সবাপতি রাহুল গান্ধী। গত একমাস ধরে বিভিন্ন নির্বাচনী জনসভায় যে ন্যুনতম আয় সুনিশ্চিত করার কথা বলেছেন তিনি, তা তো রয়েইছে, সেই সঙ্গে আছে কৃষকদের জন্য আলাদা বাজেট, কর্মসংস্থান বৃ্দ্ধির মতো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক, জনতার আশীর্বাদ পেতে ইস্তেহারে কী কী প্রতিশ্রুতি দিলেন কংগ্রেস সভাপতি -
ন্য়ায় - ন্যুনতম আয় যোজনা
ক্ষমতায় এলে ভারতের যেসব পরিবারে মাসিক আয় ১২,০০০ টাকার নিচে তাদের প্রতি মাসে ৬০০০ টাকা করে বছরে ৭২০০০ টাকা সাহায্য় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অর্থাত ৫ বছরে এই রকম প্রতিটি পরিবার পাবে ৩,৬০,০০০ টাকা।
কর্মসংস্থান
কংগ্রেস ইস্তেহারে বলা হয়েছে দেশে ২২ লক্ষ সরকারি পদ ফাঁকা রয়েছে। সেখানে যুবদের চাকরি দেওয়া হবে। এছাড়া ১০ লক্ষের কর্মসংস্থান করা হবে পঞ্চায়েতে। এনআরইজিএ প্রকল্পে ১৫০ দিনের কাজ সুনিশ্চিত করা হবে।
কিষাণ বাজেট
কৃষকদের জন্য আলাদা করে একটি বাজেট করা হবে বলে জানিয়েছে কংগ্রেস তথা রাহুল গান্ধী, যাকে বলা হয়েছে কিষাণ বাজেট। এছাড়া কৃষি ঋণ খেলাপকে ফৌজদারি অপরাধের জায়গায় দেওয়ানি অপরাধ হিসেবে দেখার ও একটি কৃষি উন্নয়ন ও পরিকল্পনার জন্য একটি স্থায়ী জাতীয় কমিশন গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল
ক্ষমতায় এলে প্রথমেই বিজেপি সরকারের আনা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বা সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিলটি বাতিল করা হবে, এমনটাই ববলা হয়েছে কমগ্রেসের নির্বাচী ইস্তেহারে। কোনও ভারতীয় যাতে চুড়ান্ত নাগরিক তালিকা থেকে বাদ না পড়েন তা সুনিশ্চিত করা হবে।
জিএসটি ২.০
কংগ্রেসের ইস্তেহারে জিএসটির সরলিকরণ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন স্ল্যাব, একটি নির্দিষ্ট করের হার থাকবে। রপ্তানির ক্ষেত্রে এবং অপরিহার্য পণ্য এবং পরিষেবায় কর ছাড় দেওয়া হবে। জিএসটি থেকে সংগৃহীত রাজস্বের ভাগ পঞ্চায়েত ও পৌরসভাগুলিকেও দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
আধার
কংগ্রেস সরকারে আসলে ব্যাঙ্ক, মোবাইল নম্বর ইত্য়াদির ক্ষেত্রে আধার নম্বর সংযুক্ত করার বিষয়ে উৎসাহ দেওয়া হলেও সিদ্ধান্ত নেওয়াটা নাগরিকদের হাতেই কবে। আধার সংযোগ নেই বলে কেউ কোথাও বঞ্চিত হবেন না।
ঘৃণা-অপরাধ অবসান
পরিসংখ্যান বলছে গত পাঁচ বছরে তপশীলি জাতি উপজাতি, সংখ্য়ালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গণরোষে মৃত্য়ু সমাজের দুর্বল অংশের উপর অত্যাচার, মানুষে মানুষে ভেদাভেদ কমিয়ে ঘৃণা-অপরাধের অবসান ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কংগ্রেস।
প্রতিষ্ঠানগুলিকে সুরক্ষিত করা
কংগ্রেসের ইস্তেহারে দাবি করা হয়েছে গত পাঁচ বছরে এনডিএ-র শাসনে, আরবিআই, সিবিআই, ইসিআই, সিআইসি-এর মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলি-কে দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে।ইলিকে পুনরিজ্জিবিত কংগ্রেস। এছাড়া, স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলির নির্বাচনের সময় বরাদ্দ করার জন্য এনডিএ সরকারের চালু করা জাতীয় নির্বাচন তহবিল বাতিল করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।