ভারতে সর্বোচ্চ, বিশ্ববাজারেও তৃতীয় দামি টিকা কোভ্যাক্সিন! দেশীয় টিকা হয়েও কেন এত দাম?
ভারতে সর্বোচ্চ, বিশ্ববাজারেও তৃতীয় দামি টিকা কোভ্যাক্সিন! দেশীয় টিকা হয়েও কেন এত দাম?
টিকাকরণের শুরুতে ভ্যাকসিনের দাম নিয়ে একাধিক আশার কথা শোনাতে দেখা গিয়েছিল ভারত বায়োটেককে। এমনকী নিজ দেশে তৈরি হওয়ায় এই কোভ্যাক্সিন জলের দরে পাওয়া যাবে বলেও আশার কথা শুনিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বের সবথেকে দামি টিকার তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত বায়োটেক-আইসিএমআর-র হাতে তৈরি কোভ্যাক্সিন।
দেশের মধ্যে সবথেকে দামী কোভ্যাক্সিন
এদিকে সম্প্রতি দেশের সমস্ত প্রতিষেধকের দাম বেঁধে দিয়েচে কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্র জানিয়েছে, বেসরকারি ক্ষেত্রে টিকা প্রতি কোভিশিল্ডের দাম ৭৮০ টাকার বেশি হবে না। স্পুটনিক ভি-এর সর্বোচ্চ দাম হবে টিকা প্রতি ১,১৪৫ টাকা। অন্য দিকে কোভ্যাক্সিনের সর্বোচ্চ দাম হবে ১,৪১০ টাকা সঙ্গে থাকছে ১৫০ টাকা জিএসটি। সহজ কথায় দেশের মধ্যেও সবথেকে দামি কোভ্যাক্সিন।
কেন বাড়ছে খরচ ?
অথছ কার্যকারিতার দিক থেকে কোভিশিল্ডের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে আছে কোভ্যাক্সিন। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে এতটা বর্ধিত দামের পিছনে ঠিক কী কারণ? এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভ্যাক্সিন যে প্রক্রিয়া তৈরি হচ্ছে, তাতে উৎপাদনমূল্য অনেকটাই বেশি। যা কোভিশিল্ড, স্পুটনিকের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এমনকী এই টিকা তৈরির জন্য অত্যন্ত দামী হাজার হাজার লিটারের রক্তরস বা সেরাম আমদানি করতে হচ্ছে ভারত বায়োটেককে।
কী ভাবে তৈরি হচ্ছে কোভ্যাক্সিন ?
পরবর্তীতে সেই সেরামে জন্ম দিতে হচ্ছে নিষ্ক্রিয় ভাইরাস। যা প্রতিষেধকেরা ভূমিকা নিচ্ছে মানবদেহে। পুরো কাজটাই হচ্ছে বিএসএল ল্যাবে। যার জেরেই অন্যান্য টিকার থেকে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে কোভ্যাক্সিনের দাম। যদিও কোভিশিল্ড আর স্পুটনিকের দামে ফারাকের কারণ সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক। এমআরএনএ প্রতিষেধক তৈরি করা সবচেয়ে সহজ এবং খরচও কম।
আদৌও কমতে পারে দাম ?
অন্যদিকে ফাইজার এবং মডার্নার টিকাও কোভিশিল্ড-স্পুটনিকের মতো এমআরএনএ পদ্ধতিতে তৈরি। এদিকে চিনের দুটি কোম্পানি ভারত বায়োটেকের পদ্ধতিতে টিকা বানালেও তাদের তৈরি ব়্যাবিসের টিকার দাম মাত্র ২০০ টাকা। আর এই ক্ষেত্রেই বারংবার প্রশ্নের মুখে পড়ছে কোভ্যাক্সিন। তবে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, টিকার উৎপাদন বাড়লে আগামীতে দাম আরও কমবে।