নাগরিকপঞ্জির খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়ছে বাঙালি হিন্দুদের নাম
অসমের নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার দিন ঘনীয়ে আসছে। এরমধ্যেই নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। নাগরিকপঞ্জির খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়েছে একাধিক বাঙালি হিন্দুর নাম।
অসমের নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার দিন ঘনীয়ে আসছে। এরমধ্যেই নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। নাগরিকপঞ্জির খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়েছে একাধিক বাঙালি হিন্দুর নাম। এতে নতুন করে আশঙ্কার মেঘ দেখছে বিজেপি।
বাদ পড়ছে বাঙালি হিন্দুদের নাম
এনআরসি নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ানোর আশঙ্কা দেখছে বিজেপি। ৩১ অগস্ট প্রকাশিত হওয়ার কথা নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা। তার আগে খসড়া তৈরি করতে গিয়ে চমকে উঠেছেন অনেকেই। অসমে বসবাসকারী একাধিক বাঙালি হিন্দুর নাম বাদ পড়েেছ তালিকা থেকে। গুয়াহাটির বাসিন্দা উমাকান্ত ভৌমিক (৫২) দাবি করেছেন প্রথম খসড়া তালিকাতেই যে ৪০ লাখ বাসিন্দার নাম বাদ পড়েছিল তাঁর মধ্যে তিনি অবং তাঁর পরিবারও ছিলেন। এই নিয়ে নানা জায়গায় ছুটোছুটি করেছেন। এনআরসি শুনানিতেও হাজির হয়েছেন। কিন্তু নাম নথিভুক্ত হওয়ার কোনও আশা তিনি দেখতে পাচ্ছেন না। শুধু উমাকান্ত ভৌমিকই নন এরকম একাধিক বাঙালি হিন্দু পরিবার রয়েছেন যাঁরা অসমে বংশ পরম্পরায় বাস করে চলেছেন কিন্তু এনআরসিতে তাঁদের নাম ওঠেনি।
কেন উদ্বেগে বিজেপি
বাঙালি হিন্দুদের এনআরসি তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ায় উদ্বেগ বাড়ছে অসমের বিজেপি শিবিরে। কারণ অসমে বসবাসকারী বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে ১৮ শতাংশই বিজেপির সমর্থক। কাজেই এনআরসিতে তাঁদের নাম না থাকায় সমর্থন হারানোর আশঙ্কা করছেন তাঁরা। লোকসভা ভোটে অসমের ১৮টি আসনের মধ্যে যে ৯টি আসনে বিজেপি জিতেছে সেই সবগুলি আসনেই বিজেপির ভোটার বাঙালি হিন্দু, আদিবাসী এবং অসমিয়া হিন্দু। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় রীতিমত চিন্তিত অসমের বিেজপি শিবির।
কেন এনআরসি
বিজেিপ সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই বেআইনি অনুপ্রবেশকারী িচহ্নিতকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয় অসমে। ১৯৫১ সালে অসমে প্রথম প্রকাশিত নাগরিক তালিকা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে সংশোধনের কাজ শুরু করে বিজেপি সরকার। অসমে বসবাসরত ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে যারা ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চের পরে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে এই রাজ্যে প্রবেশ করেছে তাঁদের তালিকা থেকে পৃথক করার নির্দেশ দেয় সু্প্রিম কোর্ট। সেই নির্দশ মেনেই এনআরসির তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
এনআরসি কম তোলপাড় হয়নি রাজনৈতিক মহল। বিরোধিতায় সবচেয়ে বেশি সোচ্চার হয়েিছলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খসড়া তালিকা থেকে বেছে বেছে বাঙালিদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে মমতার সেই দাবিই সত্যি হতে চলেছে। অধিকাংশ বাঙালি হিন্দুদের নামই বাদ পড়েছে তালিকা থেকে।