লোকসভার আগে চার রাজ্যের সরকার গঠনে সাবধানী বিজেপি! মোদীর বাড়িতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক
সামনেই লোকসভা নির্বাচন! আর সেই নির্বাচনের আগে কোনও রকমে কার্যত মুখ রক্ষা হয়েছে বিজেপির। আসন কমলেও উত্তরপ্রদেশ, মণিপুর, উত্তরাখণ্ড এবং গোয়াতে ফের একবার ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। এবার বিজেপির কাছে এই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির
সামনেই লোকসভা নির্বাচন! আর সেই নির্বাচনের আগে কোনও রকমে কার্যত মুখ রক্ষা হয়েছে বিজেপির। আসন কমলেও উত্তরপ্রদেশ, মণিপুর, উত্তরাখণ্ড এবং গোয়াতে ফের একবার ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। এবার বিজেপির কাছে এই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন কার্যত বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব একাধিক ইস্যুর পরেও মানুষ ভোট দিয়েছে বিজেপিকে! এই অবস্থায় চার রাজ্যের সরকার গঠনে কিছুটা হলেও সাবধানি। শুধু তাই নয়, মন্ত্রিসভা গঠনের ক্ষেত্রেও ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
এমনকি খোদ এই বিষয়টি নরেন্দ্র মোদী দেখছেন বলে জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, নয়া দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বাসভবনে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। যেখানে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন বলেই খবর। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, বিএল সন্তোষ সহ একাধিক নেতারা। মূলত চার রাজ্যে সরকার গঠনের বিষয়েই বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথকেই মুখ্যমন্ত্রী মুখ করে বিজেপি লড়াই করলেও বাকি তিন রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী কে হবে তা নিয়ে একটা ধোঁয়াশা রয়েছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহকে উত্তরপ্রদেশে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করেছে বিজেপির পার্লামেন্টারি বোর্ড। পাশাপাশি রঘুবর দাশকে সহকারী পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে।
অন্যদিকে রাজনাথ সিংকে উত্তরাখন্ড এবং মণিপুরের জন্যে কিরণ রিজেজুকে বাড়তি দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হচ্ছে। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এদিনের এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য এবার উত্তরপ্রদেশে একধাক্কায় অনেকটাই আসন কমেছে বিজেপির। ৪০৩টি আসনের মধ্যে ২৫৫টি পায় বিজেপি। জোটে থাকা বাকিরা বেশ কয়েকটি আসন পায়। সব মিলিয়ে ২৭৩টি আসন নিয়ে ফের একবার উত্তরপ্রদেশের মসনদে যোগী আদিত্যনাথই। ইতিমধ্যে অমিত শাহ, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে হোলির পরেই সে রাজ্যে সরকার গঠন হবে।
অন্যদিকে গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে বিজেপিই। ম্যাজিগ ফিগারের থেকে মাত্র একটি আসন কম পেয়েছে তারা। তারপর অবশ্য সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূলের জোট সঙ্গীও। হোলির পরে নতুন নতুন সরকার গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে গোয়ায়। কিন্তু তার আগে গোয়ায় বিজেপিক অন্দরে শুরু হয়েছে তীব্র মতবিরোধ।
এই অবস্থায় সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী প্রমোদ সাওয়ান্ত মঙ্গলবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গদে দেখা করতে নয়াদিল্লিতে গিয়েছেন। সব মিলিয়েই এদিন আলোচনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।