দিল্লি হিংসায় মামলায় ইউএপিএ নিয়ে তোপ, অবশেষে জামিনে মুক্ত পিঁজরা তোড়ের আন্দোলনকারীরা
প্রায় ১ বছর পর জামিনে মুক্ত পিঁজরা তোড় সংগঠনের আন্দোলকারীরা
২০১৪ সালের পর মোদী জমানার শুরু থেকেই যেন গোটা এক ধাক্কায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলার সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়তে থাকে। খ্যাতানামা লেখক থেকে সাধারণ ছাত্র, দেশবিরোধী কাজের অভিযোগে গরাদের পিছনে চলে যান অনেকেই। এদিকে গত বছর সিএএ-এনআরসি ইস্যুতে যখন উত্তাল গোটা দেশ তখন ইউএপিএ-র জালা আটকা পড়েন ছাত্র সংগঠনের কর্মী দেবাঙ্গনা কলিতা,নাতাশা নারওয়াল ও আসিফ ইকবাল তানহা। মঙ্গলবার এই তিনজনেরই জামিন দেয় দিল্লি হাইকোর্ট।
জামিনে মুক্ত পিঁজরা তোড় সংগঠনের সদস্যরাও
এদিকে পিঁজরা তোড় সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত দেবাঙ্গনা কালিতা, নাতাশা নারওয়াল। অন্যদিকে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া আসিফ ইকবাল তানহা। তাদের প্রত্যেকেই দিল্লি হিংসায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। সূত্রের খবর, বর্তমানে তিন জনকেই ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেন বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুল এবং অনুপ জয়রাম ভাম্ভানির বেঞ্চ। এমনকী তাদের উপর চাপানো ইউএপিএ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দুই বিচারক।
গরাদের পিছনে একাধিক ছাত্র নেতা
এদিকে সিএএ-এনআরসি আন্দোলনের রেশ ধরে গত বছর দফায় দফায় আগুন জ্বলে রাজধানী দিল্লিতে। সাম্প্রদায়িক হিংসার বলি হন ৫০ জনেরও বেশি মানুষ। আর তারপরই হিংসায় মদতের অভিযোগ এনে একের পর এক ছাত্র নেতাদের গরাদের পিছনে পাঠাতে থাকে কেন্দ্র। যা নিয়ে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠে গোটা দেশজুড়ে। সোশ্যাল মিডিয়াও সরব হন নেটিজেনরা। অবশেষে তিনি সমাজকর্মীর জামিনে স্বতিতে তাদের সহযোদ্ধারা।
১৭ হাজার ৫০০ পাতার চার্জশিট দিল্লি পুলিশের
এদিকে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরেই দিল্লি হিংসা নিয়ে ১৭ হাজার ৫০০ পাতার চার্জশিট জমা দেয় দিল্লি পুলিশ। যাতে এই তিনজন ছাড়াও নাম ছিল আরও ১৫ অভিযুক্তের। ওই চার্জশিটেই ২৬০০ পাতাজুড়ে শুধু তাদের অপরাধের বর্ণনা দেওয়া হয় বলেও জানান যায়। যদিও চার্জশিট প্রকাশের পরেই তা নিয়ে বাড়তে থাকে চাপানৌতর। অনেকেই বলেন আইনের পক্ষ নেওয়া সত্ত্বেও একাধিক দেশবিরোধী কাজের অভিযোগ তোলা হয়েছে। যা সংবিধান বিরোধী।
দিল্লি পুলিশের অতিসক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন
এমনকী দিল্লির বিভিন্ন কলেজের পড়ুয়াকে গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে দিল্লি পুলিশের অতিসক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এমনকী দিল্লি হিংসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত থাকা প্রমাণ ছড়াই অনেককে গ্রেফতারের অভিযোগে উত্তাল হয় রাজধানীর রাজ্য-রাজনীতি। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার আসিফ ইকবাল তানহা ছাড়াও পুলিশের নজরে পড়েন শিফা উর রহমান, মীরন হায়দরেরাও।
ভোট পরবর্তী অশান্তি নিয়ে চুপ কেন রাজ্য, দিল্লি যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া চিঠি রাজ্যপাল ধনখড়ের