উৎসবের মরশুমে ভারতের বুকে বড়সড় হামলার ছক কষছে পাকগুপ্ত চর সংস্থা! জারি হল HIgh Alert
সামনেই উৎসবের মরশুম! দুর্গাপুজো-নবরাত্রী সহ একাধিক উতসবে মেতে উঠবে দেশের মানুষ। আর সেই সময়ে দেশে বড়সড় নাশকতা চালাতে পারে পাক জঙ্গিরা। সমস্ত রাজ্যকে এই বিষয়ে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ফলে এখন থেকে সাবধান হওয়ার জন্যে
সামনেই উৎসবের মরশুম! দুর্গাপুজো-নবরাত্রী সহ একাধিক উতসবে মেতে উঠবে দেশের মানুষ। আর সেই সময়ে দেশে বড়সড় নাশকতা চালাতে পারে পাক জঙ্গিরা। সমস্ত রাজ্যকে এই বিষয়ে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ফলে এখন থেকে সাবধান হওয়ার জন্যে বলা হয়েছে।
গোয়েন্দারা বলছেন, জঙ্গিরা দেশে নাশকতা চালানোর জন্যে উৎসবের মরশুমকেই বেছে নিয়েছে। এই অ্যালার্ট পাওয়ার পরেই একাধিক রাজ্যে কড়া সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গত কয়েকদিন আগে বড়সড় একটা নাশকতার ছক ভেস্তে দেয় দিল্লি পুলিশ। কয়েকদন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গেয়েন্দাদের কাছে নির্দিষ্ট সূত্র অনুযায়ী খবর আসতেই ২৮ বছরের জিশান কামার সহ একাধিক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে একাধিক নথি উদ্ধার হয়েছে।
যেখান থেকে কার্যত স্পষ্ট যে ওই যুবকরা ভারতে নাশকতা চালাতেই এসেছিল। তাঁদের জেরা করে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পান তদন্তকারী আধিকারিকরা। জেরায় ওই যুবকরা জানায় যে, করাচির বুকে বসে পাকিস্তানি জঙ্গি মডিউল উৎসবের মরশুমে করোনা আবহে ভারতের তামাম বড় শহরে পর পর বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করেছে। এরপরেই উচ্চ পর্যায়ে খোঁজখবর শুরু হয়।
আর এরপরেই কার্যত নিশ্চিত যে পাক গুপ্তচর সংস্থা ISI ভারতে বিস্ফোরক ছক কষেছে। আর এই নাশকতা চালানোর জন্যে ভিড় এলাকাকে বেছে নেবে জঙ্গিরা। কার্যত নিশ্চিত গোয়েন্দারা। টিফিন বক্স কিংবা এই জাতীয় উপাদাণকে বিস্ফোরণের জন্যে ব্যবহার করা হতে পারে বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। আর সেই বিষয়েই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে সীমান্তে জঙ্গি অনুপ্রেবেশ নিয়েও বিএসএফ সহ সমস্ত বাহিনীকে অ্যালার্ট করা হয়েছে। সূত্রের খবর, আর এরপরেই সীমান্ত এলাকাজুড়ে হাই অ্যালারট জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এক গোয়েন্দা আধিকারিক জানিয়েছেন, পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার মদতে আফগানিস্তান থেকে আসা প্রায় জনা ৪০ জঙ্গি সীমান্তে ঘাঁটি গেড়েছে। যে কোনও মুহূর্তে তারা ভারতে ঢোকার অপেক্ষাতে রয়েছে বলেও দাবি ওই গোয়েন্দা আধিকারিকের। ফলে বাহিনীকে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে।
অন্যদিকে ধৃত সন্দেহভাজন জঙ্গি জিশান পুলিশকে জানিয়েছে, জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিতে কয়েকজন প্রশিক্ষকের নাম। যাদের করাচির এক ফার্ম হাউসে নিরাপদে রাখা হয়েছে বলে খবর। এই প্রশিক্ষণে আইইডি, অস্ত্র চালনা সম্পর্কিত শিক্ষা ১৫ দিনের মধ্যে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল বলে ভারতীয় গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন।
জানা গিয়েছে, করাচির ফার্ম হাউসের সেফ জোনে যে প্রশিক্ষকরা রয়েছে তারা জানিয়েছে কোনও ছোট জঙ্গি সংগঠনকে তারা প্রশিক্ষণ দেয় না। ফলে তাবড়া নামী জঙ্গি সংগঠনকে তারা প্রশিক্ষণ দেবে। সেই সূত্রে লস্কর জঙ্গিদের নাম হাতে পেয়েছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। তারাই এই নাশকতা চালাতে পারে বলে খবর।