লালুপ্রসাদকে মুক্তি দেওয়ার ভাবনা কি ২০২০-র ভোট-অঙ্কে! বোড়ের চাল হেমন্ত সোরেনের
ঝাড়খণ্ডের পর বিহারে বিজেপিকে শাসনক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে কি এখন থেকেই পরিকল্পনা শুরু করে দিল বিরোধীরা? করোনা আতঙ্কের মধ্যে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের তৎপরতা অন্তত তেমনই সম্ভাবনার জন্ম দিয়েছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে হেমন্ত সোরেন করোনা পরিস্থিতিতে লালুপ্রসাদকে মুক্তি দিয়ে সেই জল্পনার পারদ চড়িয়ে দিয়েছেন।

লালুর জেলমুক্তি নিয়ে জল্পনা
করোনার আতঙ্কের মধ্যেও এখন ঝাড়খণ্ড ও বিহারজুড়ে একটাই আলোচনা- তা হল আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের জেল মুক্তি কি সত্যিই ঘটতে চলেছে? লালুপ্রসাদ যাদবের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন সেই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন। ঝাড়খণ্ডে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ঝুঁকি নিয়ে লালুপ্রসাদ যাদবকে হাসপাতালে রাখতে চাইছে না সরকার।

করোনার ঝুঁকি নাকি ২০২০-র অঙ্ক
এখন প্রশ্ন লালুপ্রপসাদকে কি শুধু করোনার ঝুঁকি এড়াতেই মুক্তির কথা ভাবা হচ্ছে? না কি এর পিছনে রয়েছে ২০২০-র শেষে বিহার বিধানসভার ভোট অঙ্ক। য়াই হোক না কেন, লালুপ্রসাদকে কীভাবে মুক্তি দেওয়া যায় তা নিয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে পরামর্শ শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।

নেপথ্যে প্রতিদানের অঙ্কও নেই তো!
লালুর দল ঝাড়খণ্ড নির্বাচনে হেমন্ত সোরেনের দলকে সমর্থন করেছিল। তার ফলে জয়ের পথ সুগম হয়েছিল হেমন্ত সোরেনের। তারপর কংগ্রেসের সমর্থ তো ছিলই। বিহারেও লালুর দল আরজেডির সঙ্গে সখ্যতা কংগ্রেসের। কংগ্রেসের দুই কমন ফ্রেন্ড লালুপ্রসাদের আরজেডি ও হেমন্ত সোরেনের জেজেএম। তাই সমীকরণ মিলেই যাচ্ছে। লালুর মুক্তির নেপথ্যে প্রতিদানের অঙ্কও থাকতে পারে।

লালুপ্রসাদের মুক্তিতে বিহারে মহাজোট দেবে টক্কর
আর এই অবস্থায় লালুপ্রসাদ যদি ছাড়া পান, তবে বিহারের আরজেডির নেতৃত্বাধীন মহাজোট বিজেপি জোটকে কড়া টক্কর দিতে পারবে। লালুপ্রসাদ যাদব নেতৃত্ব দিতে পারবেন এই মহাজোটকে। তাই ঝাড়খণ্ডে মিত্র-শক্তি হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বাধীন জেজেএম ক্ষমতায় আসায় লালুপ্রসাদকে মুক্তি দেওয়া কথা ভাবা হচ্ছে।

লালুপ্রসাদ যাদবের জেল-মুক্তি চেষ্টা সোরেনের
এই অবস্থায় হেমন্ত সোরেন চাইছেন, লালুপ্রসাদ যাদবকে জেল থেকে মুক্তি দিতে। অন্তত কিছুদিনের জন্য যদি তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া যায়! তা নিয়েই ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, পশু খাদ্য কেলেঙ্কারিতে সাজাপ্রাপ্ত লালুপ্রসাদ যাদব বর্তমানে রাঁচি সেন্ট্রাল জেলে আছেন। তবে মাঝে মধ্যেই শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে।

সুরক্ষার স্বার্থেউ ছুটি দিচ্ছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী!
বর্তমানে তিনি বন্দি আছেন রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে। এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন করোনা আক্রান্ত বেশ কয়েকজন রোগী। তাই ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে ছুটি দেওয়াই নিরাপদ মনে করছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি প্রশাসনিক মহলে কথা বলে প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার কথাই ভাবছেন।