ভিডিও গেম খেলতে ভালবাসেন ঝাড়খণ্ডের সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন
সম্ভাবনা ক্রমশ নিশ্চয়তার দিকে এগোচ্ছে। তাই পর পর দুটি কেন্দ্রে জয়ের খবর পাওয়ার পরেই বাবা শিহু সোরেনের সঙ্গে সপরিবারে দেখা করতে ছুটে দিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন।
সম্ভাবনা ক্রমশ নিশ্চয়তার দিকে এগোচ্ছে। তাই পর পর দুটি কেন্দ্রে জয়ের খবর পাওয়ার পরেই বাবা শিহু সোরেনের সঙ্গে সপরিবারে দেখা করতে ছুটে দিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন। রাঁচিতে হেমন্তের বাড়ির সামনে তখন চলছে উল্লাস। জেএমএম সমর্থকরা রাস্তায় মিষ্টি বিলি করতে শুরু করেছেন। বাবার কাছে গিয়ে প্রথমে প্রণাম করেন হেমন্ত। তারপরে বাগানের রাস্তায় বাবার সঙ্গে হাঁটতে শুরু করেন। সেই আলোচনায় যোগদেন মা কল্পনা সোরেনও। পূর্ণ হল পারিবারিক ছবি। মুহূর্তে সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন চ্যানেলে।
রাজনীতিক যে পথটা শিবু সোরেন তৈরি করে দিয়েছিলেন। সেটা খুব একটা সহজ ছিলা হেমন্তের কাছে। ৪৪ বছরের হেমন্তের এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে দীর্ঘ সময়ের লড়াই। শিবু সোরেন যেখানে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে দল তৈরি করেছিলেন। হেমন্ত সোরেন কিন্তু বুঝেছিলেন তাঁকে রাজনীতির মঞ্চে জায়গা করে নিতে হবে। সেই মত নিজেকে তৈরি করেছিলেন তিনি। তাঁর ব্যক্তিত্ব শুধু আদিবাসী সম্প্রদায় নয় ঝাড়খণ্ডের অন্য সম্প্রদায়ের কাছেও অত্যন্ত গ্রহনযোগ্য হয়ে উঠেছিল। ভোট বাক্সেই তার প্রমাণ মিলেছে।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হয়েও পড়া শেষ করেননি তিনি। ২০১৩ সালে অর্জুন মুন্ডা সরকারকে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন হেমন্ত। দেশের সর্বকনিষ্ট মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন হেমন্ত। ভিডিও গেম খেলতে ভীষণ ভালবাসেন তিনি। বিভিন্ন রকমের গ্যাজেট তাঁর অত্যন্ত প্রিয়। ২০১৩ সালের পর ফের ক্ষমতা ফিরে পেতে নিজেরে অনেকটাই বদলে ফেলেছেন তিনি। তার ব্যক্তিত্বই তাঁকে সাফল্য এনে দিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতিকরা।
রাজ্যপাল মুখোমুখি হলেন পড়ুয়াদের, প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বলে গেলেন কাল আবার আসছি