২৮ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেবেন জেএমএম–এর হেমন্ত সোরেন
২৮ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেবেন জেএমএম–এর হেমন্ত সোরেন
ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে অসাধারণ কর্মক্ষমতা দেখিয়েছেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার কার্যনির্বাহী সভাপতি হেমন্ত সোরেন। ২৮ ডিসেম্বর তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিতে পারেন। প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রের পর আরও একটি রাজ্যে ধাক্কা খেলেন মোদী। ঝাড়খণ্ডে বিজেপি শতচেষ্টা করেও নিজেদের ছাপ ফেলতে অসফল হয়েছে বিজেপি। ২৫টি আসন পেয়েছে গেরুয়া শিবির।
তিথি–নক্ষত্র দেখে শপথানুষ্ঠান
রাজ্যে সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে শপথ নেওয়ার সঠিক সময় কোনটা এখন তা নিয়েই চলছে জল্পনা-কল্পনা। অনেকে বলছেন ২৭ ডিসেম্বর এই শপথ অনুষ্ঠানটি করা হোক। যদিও পরে পুরোহিতদের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত দিনটি ঠিক করা হয়। যা ২৮ ডিসেম্বর। সরকার গড়বে কংগ্রেস, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) এবং আরজেডির জোট।
তিন দলের মন্ত্রী থাকবে সরকারে
সূত্রের খবর, হেমন্ত সোরেনের মন্ত্রীসভায় ১২জন মন্ত্রী থাকবে। রাজ্যে সবচেয়ে বড় দল জেএমএমের বিধানসভায় সংরক্ষিত আসনে ছ'জন মন্ত্রী বসবে। অন্যদিকে কংগ্রেসের পাঁচজন এবং আরজেডির একজন মন্ত্রী বাছাই করা হবে। সূত্রের খবর, রাজ্যের পুরনো এই দল বিধানসভার স্পিকারের পদেও থাকবে। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে রাঁচির মোরাবাদি ময়দানে।
বিজেপির ব্যর্থতা
এ বছরের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এ রাজ্যো ভালো ফল করলেও বিধানসভায় ব্যর্থ হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছে ঠিকই, কিন্তু আদিবাসী অধ্যুষিত রাজ্যের বাসিন্দারা এতটাই বিজেপির প্রতি বীতশ্রদ্ধ যে তাঁরা স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকেই পূর্ব জামশেদপুর কেন্দ্র থেকে পরাজিত করেছেন। এখানে জয়ী হয়েছেন বিজেপিরই বিদ্রোহী নেতা সরযূ রাই। ২০১৮ সালে ছত্তিশগড়ে ধূলিসাৎ হয়েছিল বিজেপির গড়। এবার ঝাড়খণ্ডেও গোহারা হারল মোদীর দল। বিজেপি যে কোনওভাবেই মানুষের মন জয় করতে পারছে না তা আরও একবার প্রমাম করল তারা, জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের দল। রঘুবর দাস রাজভবনে তাঁর পদত্যাগপত্র দিয়ে আসার পর বলেন, ‘আমি রাজ্যপাল দৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করেছি এবং আমার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। রাজ্যপাল আমায় বলেছেন যে যতদিন না নতুন সরকার গঠন হচ্ছে, ততদিন মুখ্যমন্ত্রীর পদটি দেখভাল করতে।'