৯৩-এর মুম্বই বিস্ফোরণের চক্রীদের পালাতে সাহায্য করেছিল কারা? জানতে পারব শীঘ্রই, দাবি মোদীর
কয়েকদিন আগেই এনসিপি নেতা প্রফুল প্যাটেলকে নোটিস পাঠায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেখানে প্যাটেলের থেকে দাউদ ইব্রাহিম ঘনিষ্ঠ ইকবাল মেমনের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।
কয়েকদিন আগেই এনসিপি নেতা প্রফুল প্যাটেলকে নোটিস পাঠায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেখানে প্যাটেলের থেকে দাউদ ইব্রাহিম ঘনিষ্ঠ ইকবাল মেমনের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। রাজনৈতিক মহলে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত প্রফুল প্যাটেল। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দাউদ ঘনিষ্ঠের সঙ্গে লেনদেনের অভিযোগ ওঠার পরেই মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক তাপমাত্রার পারদ চড়তে শুরু করেছে। রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে সেই পারদ আরও চড়িয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গতকাল আকোলাতে এক জনসভায় ভাষণ রাখার সময় মোদী এই প্রসঙ্গিটিকে টেনে এনে বলেন, "আমরা খুব শীঘ্রই জানতে পারব যে ১৯৯৩ সালে মুম্বই বিস্ফোরণের মূল চক্রীদের দেশ থেকে পালাতে ও শত্রু রাষ্ট্রে আশ্রয় নিতে কে সাহায্য করেছে।"
পালিয়েছিল দাউদরা
১৯৯৩ সালের মুম্বইতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেশ থেকে পালিয়েছিল দাউদ ইব্রাহিম, টাইগার মেমন সহ বাকি অভিযুক্তরা। সেই সময় বিরোধী পক্ষে থাকা বিজেপি ও শিবসেনা অভিযোগ এনেছিল যে শরদ পাওয়ারের নেতৃত্বে থাকা মহারাষ্ট্র সরকারের মদত ছিল আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে। যদিও এই অভিযোগ বরাবর খারিজ করে এসেছেন শরদ পাওয়ার ও তাঁর সঙ্গীরা।
নতুন অস্ত্র মোদীর হাতে
গতকাল জনসভায় মোদী এনসিপিকে আক্রমণ করে বলেন, "আপনাদের কি মনে আছে মুম্বইয়ের সেই ভয়াবহ বিস্ফোরণের কথা? সেই হামলা চালানো চক্রীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে শত্রুপক্ষের কাছে আশ্রয় নিয়েছে। আপনারা সকলেই বারবার জিজ্ঞাসা করেছেন যে এটা কী করে হল? তবে এবার আমরা জানতে পারব কী করে এটা হয়েছিল। একটি নতুন অধ্যায় শুরু হতে চলেছে যা থেকে আমরা সেই ষড়যন্ত্রীদের সাহায্যকারীদের নাম জানতে পারব। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা জানে যে তাদের আর পার পাওয়ার জায়গা নেই। তারা এখন ভীত সন্ত্রস্ত। এবার মানুষ তাদের থেকে তাদের কুকর্মের জবাব চাইবে।"
এনসিপিকে আক্রমণ
গতকালই খরগড়ে অপর এক জনসভায় মোদী কংগ্রেস ও এসসিপির সঙ্গে জমি মাফিয়া ও বাহুবলিদের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ তুলে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, "আমরা জমি মাফিয়া ও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা কোনও রাজনৈতিক নেতাকেই রেহাই দেব না। আমরা রিয়েল এস্টেট ব্যবসাকে স্বচ্ছ করে তুলতে বদ্ধপরিকর।"