দক্ষিণের পর কি এবার উত্তর ভারত! ব্যাপক বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কাশ্মীর থেকে হিমাচল, জারি উচ্চ সতর্কতা
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অরুণাচলপ্রদেশ, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, হিমাচল প্রদেশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস করা হয়েছে।
দক্ষিণ ভারতের কেরল ও কর্ণাটক বৃষ্টি ও বন্যায় বিপর্যস্ত হয়েছে। এবার কি পালা উত্তরের! পঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশে ইতিমধ্যে ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বৃষ্টিপাত স্কুল-কলেজ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে বৃষ্টিপাতের কারণে হিমাচলে ৮জনের প্রাণ গিয়েছে। রাজ্যের নানা প্রান্তে শ'য়ে শ'য়ে মানুষ বিপদের মধ্যে রয়েছেন।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অরুণাচলপ্রদেশ, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, হিমাচল প্রদেশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস করা হয়েছে।
মানালিতে তিনজন ব্যক্তি স্রোতে ভেসে গিয়েছেন। বিয়াস নদীতে তাদের গাড়ি রবিবার রাতে পড়ে যায়। এছাড়া মনিকরণে পার্বতী নদীতে দুজন ভেসে গিয়েছেন। আর একটি মেয়ের মৃত্যু হয়েছে বাজৌরাতে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলা হল কুলু। হড়পা বাণে সেখানে বিপর্যস্ত গোটা এলাকা।
#HimachalPradesh: Visuals of over flowing river in Bharmour's Kharamukh area in Chamba district as incessant rain continues to lash the state pic.twitter.com/IA74b6wFf6
— ANI (@ANI) September 24, 2018
হিমাচলে গত ৪৮ ঘণ্টায় হড়পা বাণেপ্রচুর মানুষ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছেন। এদিকে পঞ্জাবেও একটানা দুদিন বৃষ্টি হয়ে চলেছে। পঞ্জাব সরকার বিপর্যয় মোকাবিলা দল তৈরি রেখেছে। পরিস্থিতির দিকে কড়া নজরও রাখা হয়েছে।
এদিকে উত্তরাখণ্ডেও ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গ্রামীণ এলাকায় বহু রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা জেলায় একই পরিবারের পাঁচ জন সদস্য বাড়িতে ধস নেমে মারা গিয়েছেন। কাঠুয়া জেলায় অনেক মানুষ বন্যায় আটকে পড়েছেন। রাজধানী দিল্লিতেও বৃষ্টিপাতের কারণে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। রাস্তায় জল জমে যানজট হয়ে মানুষ পথে নেমে বিপাকে পড়েছেন।