প্রবল বর্ষণে স্তব্ধ বাণিজ্যনগরী, শঙ্কায় প্রহর গুণছে শহরবাসী
বর্ষার শুরু থেকেই বৃষ্টি যেন পিছু ছাড়ছে না মুম্বইয়ের। প্রায় এক মাস ধরে চলছে বর্ষণ। জনজীবন প্রায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে।
বর্ষার শুরু থেকেই বৃষ্টি যেন পিছু ছাড়ছে না মুম্বইয়ের। প্রায় এক মাস ধরে চলছে বর্ষণ। জনজীবন প্রায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। শনিবার সকাল থেকে ফের শুরু হয়েছে বর্ষণ। আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী ২ দিন মুম্বই এবং সংলগ্ন এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ চলবে। পালঘর, ঠানেতে অতিভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
রেলের অবস্থা সংকট জনক
শহরের প্রাণ বলে জনপ্রিয় মুম্বই রেলের অবস্থা অত্যন্ত সংকট জনক। রেল লাইনে জল জমে যাওয়ায় ট্রেন অত্যন্ত ধীর গতিতে চলছে। অধিকাংশ ট্রেন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বন্যার জলে আটকে পড়া মহালক্ষ্মী এক্সপ্রেস থেকে ১১৭ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। কোলাপুর -তিরুপতি এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। উল্লাস নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।
একাধিক জায়গা জলমগ্ন
মুম্বইয়ের কল্যাণের একাধিক জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এলাকার অধিকাংশ বাড়িতেই জল ঢুকে গিয়েছে। শুধু কল্যাণ নয়, নালা সোপারা, মীরা ভয়ান্দর, বদলাপুরের অবস্থাও অত্যন্ত সংকটজনক। এধিকাংশ এলাকা বানভাসী হওয়ায় গবাদি পশুগুলিকে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
রেকর্ড বৃষ্টি
চেম্বুর রোড জলমগ্ন হয়ে পড়ায় যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মুম্বই শহরের অধিকাংশ রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। যার জেরে শহরে তীব্র যানজট শুরু হয়েছে সকাল থেকে। গত ২৪ ঘণ্টায় মুম্বই এবং সংলগ্ন এলাকা ১৫০-১৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা এককথায় রেকর্ড বলা চলে।
বিপর্যস্ত পরিষেবা
প্রবল বর্ষণের কারণে এখনও পর্যন্ত ১১টি উড়ান বাতিল করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের সব স্কুল, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকাজে ডাতীয বিপর্যয় মোকাবিলা দলের পাশাপাশি উদ্ধারকাজে নেমেছে নৌসেনাও।