
সিএএ নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি, উত্তরপ্রদেশের ছয় জেলায় বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে প্রতিবাদের আঁচ শুধু অসমেই সীমাবদ্ধ নেই। দেশের বিভিন্ন জায়গায় তা ছড়িয়ে পড়েছে। উত্তরপ্রদেশেও সিএএ নিয়ে বেশ কিছু এলাকায় বিক্ষোভ–প্রতিবাদ চলছে। যার জেরে আলিগড়, মিরুট, সাহারানপুর এবং বারাণসী সহ ছ’টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।

বন্ধ আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়
রবিবার রাতে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (এএমইউ) পড়ুয়াদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে পুলিশের। জামিয়া মিলিয়া ও এএমইউয়ের পড়ুয়াদের সমর্থনে এদিন মধ্যরাতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানান দারুল উলুম নাদওয়াতুল উলেমা মাদ্রাসা। যদিও সঠিক সময়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং পড়ুয়াদের প্রতিহত করে। কিছুক্ষণের জন্য রাজ্যের রাজধানীতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বারাণসীতে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা রবিবার রাতে প্রতিবাদে সামিল হন এবং বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরেই মিছিল করেন। অন্যদিকে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকায় পড়ুয়াদের দ্রুত হস্টেল খালি করে দিতে বলা হয়। রবিবার রাতে এএমইউ পড়ুয়া ও পুলিশের সংঘর্ষে উভয় পক্ষেরই মোট ৩০ জন আহত হয়েছে। জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে একই আচরণ করায় শত শত এএমইউ পড়ুয়ারা রবিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখান। সেখানেই তাঁদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে।

বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা
এএমইউ-এর রেজিস্ট্রার আবদুল হামিদ জানিয়েছেন যে রবিবার রাতে পুলিশ ক্যাম্পাসে আসে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরেই পড়ুয়াদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। তিনি সোমবার জানিয়েছেন যে হস্টেল এখন খালি করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকেই এএমইউ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার কারণই হল গত তিনদিন ধরে কিছু অসামাজিক কাজকর্ম এখানে চলছিল। তবে এএমইউ-এর সব অফিস খোলা থাকছে, শুধু পরীক্ষা ও পড়াশোনার জন্যই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখা হচ্ছে। ৫ জানুয়ারির পর বাকি পরীক্ষাগুলি হবে এবং কিছু যদি পরিবর্তন হয় তবে তা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হবে। এএমইউ প্রক্টোর আফিফুল্লা খান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের কাছে ইঁটের আঘাতে কিছু নিরাপত্তা রক্ষী আহত হন। আলিগড়ের জেলা শাসক চন্দ্র ভূষণ সিং বলেন, ‘এএমইউ পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জন্য রবিবার রাত দশটা থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে।' প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে এমএমইউ পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাবে স্যার সৈয়দ গেটে সিএএ-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করে এবং আইন ও দিল্লিতে প্রতিবাদকারীদের ওপর পুলিশি জুলুমের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। পড়ুয়ারা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেয়।

বিশাল প্রতিবাদ–বিক্ষোভের আয়োজন হচ্ছে
সোমবার দারুল উলুম নাদওয়াতুল উলেমার এক পড়ুয়া এই পরিস্থিতি প্রসঙ্গে জানান যে রাজ্যে পরিকল্পনা করে সঠিকভাবে প্রতিবাদ জানাতে হবে। তিনি বলেন, ‘দিল্লিতে যা হয়েছে সেটারই প্রতিবাদ স্বরূপ রবিবারের ঘটনা ঘটে। কিন্তু আমরা সব ছাত্র সংগঠনকে একত্রিত করে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে বড় প্রতিবাদে নামব। আমরা এভাবে পিছিয়ে যাব না।'
সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে এজিপি ও অসম সাহিত্য সভা, আলাদা দল গড়বে আসু