চড়ছে উত্তাপ! একাধিক শ্রমিক সংগঠনের সাথেই ৮ তারিখের বনধের সমর্থন কোন কোন রাজনৈতিক দল
চড়ছে উত্তাপ! একাধিক শ্রমিক সংগঠনের সাথেই ৮ তারিখের বনধের সমর্থন কোন কোন রাজনৈতিক দল
পাঁচ দফা বৈঠকের পরেও আজও অধরা সমাধান সূত্র। এদিকে দিন যত গড়াচ্ছে ততই বাড়চেআন্দোলনের ঝাঁঝ। কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ইতিমধ্যেই ৮ ডিসেম্বর সারা ভারত বনধের ডাক দিয়েছে কিষাণ ইউনিয়ন গুলি। ইতিমধ্যেই তাতে সমর্থন জানিয়েছে বিরোধী দলের একটা বড় অংশ।
নিজেদের দাবিতে অনড় দু-পক্ষই
অন্যদিকে নিজেদের দাবিতে অনড় কেন্দ্র-কৃষক দু-পক্ষই। যদিও কৃষকদের জেদের কাছে মাথানত করে কৃষি আইন বেশ কিছু বদলের দাবিতে কেন্দ্রের তরফে সায় মেলার ইঙ্গিত মিললেও এখনও কোনও বড়সড় পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। অন্যদিকে কৃষি আইন বাতিল না করা পর্যন্ত আন্দোলনের রাস্তা থেকেও সরবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কৃষকরাও।
ব্যহত হতে পারে জনজীবন
এমতবস্থায় ৮ ডিসেম্বরের বনধকে ঘিরে ক্রমেই চড়ছে উত্তেজনার পারদ। এদিকে একাধিক রাজ্যে ক্ষমতাসীন দলের পাশাপাশি এই বনধকে সমর্থন করছে বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন। আর সে কথা মাথায় রেখেই ৯ ডিসেম্বর জনজীবন অনেকাংশেই ব্যহত হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অন্যদিকে ব্যাঙ্ক, রেল ও পরিবহন ব্যবস্থাও ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
৮ তারিখ দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচীর ডাক কংগ্রেসের
অন্যদিকে এই বনধকে ইতিমধ্যেই সমর্থন করেছে কংগ্রেস। একইসাথে ৮ তারিখ দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচীও নেওয়ার ডাক দেওয়া হয়েছে। সমস্ত পার্টি অফিসেও বিক্ষোভ কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি কমবেশি প্রতিটা রাজ্যে রাস্তায় নামতে দেখা যাবে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের।
কী অবস্থান নিচ্ছে তৃণমূল ?
এদিকে কংগ্রেসের পাশাপাশি এই বনধে সমর্থন করেছে তৃণমূলও। যদিও বনধের ইস্যু সমর্থন করলেও বনধ সফল করতে তৃণমূল কর্মীরা মাঠে নামবে না বলেও জানানো হয়েছে। তবে কৃষি আইনের প্রতিবাদে আগামী ১০ ডিসেম্বর ধর্মতলায় মমতা বন্দোপাধ্যায়ের একটি সমাবেশ করা কথা রয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি কৃষকদের ডাকা বনধকে সমর্থন করছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনও।
বনধের সমর্থনের রাস্তায় নামবে আম আদমি পার্টি, টিআরএসও
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পাশাপাশি এই বনধের সমর্থনে রাস্তায় নামতে দেখা যাবে আম আদমি পার্টি ও তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি বা টিআরএসকে। এমনকী রাজ্যজুড়ে সর্বাত্মক বনধের জন্য সমস্ত কর্মী-সমর্থককেই নির্দেশ দিয়েছেন টিআরএস প্রধান তথা তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্র শেখর রাও। সবুজ সংকেত মিলেছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের তরফেও।
বনধের সমর্থনে কোন কোন শ্রমিক সংগঠন ?
অন্যদিকে ৮ তারিখ কৃষকদের ডাকা বনধকে আগেই সমর্থন জানিয়েছিল সিপিআইএম, সিপিআই, সিপিআইএমএল সহ প্রায় প্রতিটা বাম দলই। অন্যদিকে বনধকে সমর্থন জানিয়েছে লালুপ্রসাদের রাষ্ট্রীয় জনতা দলও। রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস (আইএনটিইউসি), অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস (এআইটিইউসি), হিন্দ মজদুর সভা (এইচএমএস), ভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (সিআইটিইউ), অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ট্রেড ইউনিয়ন সেন্টার (এআইইইটিইউসি) এবং ট্রেড ইউনিয়ন কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের (টিইউসিসি) মতো শ্রমিক সংগঠনগুলিও বনধের সমর্থনে আওয়াজ তুলেছে।