একই সিরিঞ্জে ৩৯ পড়ুয়াকে কোভিড টিকা, প্রকাশ্যে স্বীকার করে কী বললেন স্বাস্থ্যকর্মী
একই সিরিঞ্জে ৩৯ পড়ুয়াকে কোভিড টিকা, প্রকাশ্যে স্বীকার করে কী বললেন স্বাস্থ্যকর্মী
একটি সিরিঞ্জেই ৩৯ পড়ুয়াকে কোভিড টিকা। চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে। বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের সাগর এলাকার জৈন পাবলিক স্কুলে টিককরণ কর্মসূচি চলছিল। সেখনেই স্বাস্থ্য কর্মী ৩৯ জন পড়ুয়াকে একটি সিরিঞ্জেই টিকা দিয়েছে। ভয়ঙ্কর বিপদজ্জনক কাণ্ড ঘটিয়েও স্বাস্থ্যকর্মীর নিরুত্তাপ। উল্টে তিনি দাবি করেছেন তাঁকে একটি মাত্র সিরিঞ্জ দিয়েই বলা হয়েছিল স্কুলে পড়ুয়াদের টিকাকরণ করতে।
একই সিরিঞ্জে ৩৯ জনের টিকাকরণ
বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে করোনা টিকাকরণ নিয়ে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। সেটাও আবার স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে। মধ্যপ্রদেশের সাগরে একটি স্কুল ৩৯ জন পড়ুয়াকে একটি সিরিঞ্জেই করোনা টিকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে। ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ঘটনা। কীভাবে একই সিরিঞ্জে করোনা টিকা দেওয়া হল তা িনয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
স্বাস্থ্যকর্মীর স্বীকারক্তি
এই ঘটনার জানাজািন হতেই প্রকাশ্যে স্বাস্থ্যকর্মী দাবি করেছেন এতে তাঁর কোনও দোষ নেই। উল্টে স্বাস্থ্যকর্মীর দবি তাঁকে একটি সিরিঞ্জ দিয়ে বিভগীয় প্রধান টিকাকরণ করতে পাঠিয়েছিলেন। তাই তিিন বাধ্য হয়েই একটি সিরিঞ্জেই পড়ুয়াদের টিকা দিয়েছেন। এতে তাঁর দোষ কোথায়? স্বাস্থ্য কর্মীর এই স্বীকারোক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছেন একজন স্বাস্থ্যকর্মী হয়ে তিিন কীভাবে এই কাজটি করলেন। প্রশ্ন উঠছে মধ্য প্রদেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা িনয়েও।
একই সিরিঞ্জ একাধিকবার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা
একই সিরিঞ্জ একাধিকবার ব্যবহার করা যায় না। এইডস ছড়িয়ে পড়ার পরেই বিশ্বজু়়ড়ে িনর্দেশিকা জারি করা হয়েছিল ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ ব্যবহার করতে হবে সকলকে। অর্থাৎ একই সিরিঞ্জ ব্যবহার করে কিছুতেই কোনও ইনজেকশন দেওয়া যাবে না রোগীকে। এইচআইভি সংক্রমণ রুখতেই এই িনর্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। মধ্য প্রদেশের সেই ঘটনা সব িনর্দেশিকা এক প্রকার ধুলোয় উড়িয়ে দিয়েছে।
এফআইআর করে তদন্ত
ঘটনায় অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মী জিতেন্দ্রর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। সাগর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। জেলার টিকাকরণ আধিকারিক ডক্টর রাকেশ রোশনের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ কারণ টিকা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিিনস তিনিই পাঠিয়েছিলেন। স্বাস্থ্যকর্মীর দাবি যদি সত্যি হয় তাহলে দায় বিভাগীয় প্রধােনর উপরেই বর্তায়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কড়া পদক্ষেপ করা হবে দোষ প্রমাণিত হলে।
দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বরখাস্ত করার দাবিতে পথে নেমে বিক্ষোভ ছাত্র পরিষদের